খসে পড়েছে তারা অধরার,
উথ্থানের চূড়ায় শুধুই হাহাকার ৷
অপলকে পড়েছে কুকুরের চোখ নিষিদ্ধ আকর্ষনে ৷
সাতপাকের ললাটে সিথির সিঁদুর  যায় মুছে ,
কপাল দোষে ৷
ঝকমকি আশ্রয়ে হারায় পরিচয়,
পানশালায় নৃৃৃৃৃত্য নয়ন যখন আফ্রোদিতি আবেদনে ৷
রূপালী ফিতার আবিষ্ট বিনোদন
রতির চিহ্ন এঁকে দিল মাটির গতরে ৷
চাহিদার বাড়-বাড়ন্তে জড়ায় চরিত-
আপন পেছনে ফেলে ৷
বনফুলে লাগে বিষাদ,
জীবন বন্দী যখন ভূষন ছাঁচে ৷
আদিম খোরাকে কন্যা দোদুল দুলে,
বাড়ে বাসনার পিয়াস নূপুর নিক্কণে ৷
টান-টান উত্তেজনার অপ্রসঙ্গ গীতে
অনিচ্ছারা ফিরে আসে উচ্ছিষ্ট দৃৃৃৃশ্যে ৷
পরাভূত ঠগি আবদারে
স্বল্প বসনায় রমনী সাজে ৷
সবার সামনে আসবে বলে
রাতের পর রাত কত কালোতে
পরিচয়ে অপরিচিতা মন্ত্র ছাড়া শয্যা পাতে ৷
মুগ্ধতায় স্বর্গারোহন,ভ্রূকটিতে ধরাপাতে ৷
নিন্দুকেরা টক-ঝালে
কথায়-কথায় কিওপেট্রো মারে ৷
শ্রোতায়-বলায় মেরিলিন হারে ৷
ভক্ত অন্ধে সাজায় কামের দেবী হৃৃৃৃৃদয় মাজারে
পূজা নিষেধের অর্ঘ্যে ৷
খ্যাতিরা আসে আলোর পিছনের কালোতে
শ্রী ব্যবসার যোজনে ৷
অহম বাঁধে বাসা সোনালী বরণ হরিনী চোখে ৷
পড়ন্ত বিকেলে যখন মলিন গোলাপের
পাপড়িরা ঝরে ৷
স্মৃৃতিতে আসে বারে-বারে
গতের অভিশপ্ত হতাশারা ৷
চার দিক ঢেকে যায় সীমাহীন আঁধারে ৷
ক্ষীয়মান অন্তরঙ্গতার বিচ্ছেদে
একাকীত্ব আসিয়া সদা টুটি চেপে ধরে ৷
আশারা হারায় সব চেতনের অবচেতনে ৷
ত্যাজিল প্রাণ আত্নহননে
নষ্ট পৃৃথিবীর নশ্বর প্রতিমা ছেড়ে ৷


(কবিতাটি বিনোদন জগতের অন্ধকার দিক প্রসঙ্গে
রচিত ৷)