বেঁকে গেছে যখন বিবর্ণ শৈশব
যাক্কুমরাজ্যেরও পানে ,
দেখে ধ্রুবতারা ভ্রান্ত বিশ্বাস
আফিমেরও ধূম্রে ৷


ন্যায্যতার বয়ান দেয় নরকসাপ
মিথ্যান্ধ কানাগলিতে ৷
গর্জায় গাউল আক্রোশ
হেরেমেরও অন্দরে !


কোপমারে কালবিধবা
সুখ খদ্দেরেরও গর্দানে !
দেয় আত্মহুতি সত্যসতী
লিপ্সারও জ্বলন্ত কুন্ডে !


খুলে ফেলে কফিনেরও শেষ পেরেক
দ্রোহি নিগ্রহ অনাকর্ষী আকর্ষণে ৷
চুমো দেয় প্রেমপিয়াসী অগ্নিকামনা
নিষ্প্রাণ ওষ্ঠে ৷


ভ্রূকটি কাটে বর্ণচোরা
ভাঙা আরশিরও বিম্বে !
মুখাগ্নি দেয় নষ্ট মুখোশ
মুখেরও শেষকৃত্যে ৷


ক্ষুধা মিটায় অতৃপ্ত পরিতৃপ্তি
ক্রুশবিদ্ধ নরমাংসে !
রচে যায় খুনীরও রোজনামোচা
ট্র্যাজেডির পর ট্র্যাজেডি আত্মজবানে !


আস্তানা গেঁড়েছে যখন রক্তপিশাচ
নীল আলয়েরও বিভৎস কোটরে ,
মুছে যায় তব জ্যোৎস্নারও অহংকার
রাহুরও করালগ্রাসে !


শেষ নিঃশ্বাসে ঝরে শেফালী
বিকৃত রতীরও রাতে !
ডুব মারে ডাকিনী রক্তসরোবরে
চিরযৌবনেরও তালাশে !


কালীরও ঘাম ফুটায় ধুতুরা
শয়তানীরও মন্ত্রে ৷
ভুলে যায় শোক কৃষ্ণ কার্নসেন
রিক্ত ধূসর শীতে ৷


দাঁড়িয়ে ভুখা শূণ্য থালে
কাঁটাতারেরও পিছে ;
দেখে শেখেরও হুবারা শিকার
দৃষ্টিরও প্রামান্যে ৷


ছোবল মারে শিরোনামহীন
যখন নাগরা পরা পায়ে ,
বন্দী হলো প্রশ্নরা সব
কারার ঐ লৌহকপাটে ৷


চাটে রক্তধারা হন্তারক অবহেলা
মৃগেন্দ্র বিকারে ৷
মৃত্যু যখন আঁকিছে গ্রাফিতি
স্বীকারোক্তিরও শ্বেত প্রাচীরে !


হারায় ভ্যাম্পায়ার আঁধার কোকুনে
মস্তক ছিন্ন গতরেরও সাক্ষ্যে ৷
হাঁক দেয় নৃশংস নেকড়ে
প্রতিশোধী রক্তিমচাঁদে !


খুলে গেছে যখন ধ্বংসেরও চোখ
নাশেরও ভিসুভিয়াস কম্পে ,
খুনে খঞ্জর সপিছে গোলাপ
মায়াহীনা রক্তরাগে !