মানচিত্রে মুছে যায় যে বহমান ইতিহাস
কোন এককালের ছিলাম আমির ৷
জলসিক্ত তলের ভেজা মৃৃৃত্তিকা ফেটে চৌচির
রুদ্ররোষে যখন দিনের রবি ৷
ধু—ধু বালুচরে শুধু হাহাকার
অতৃৃৃৃপ্ত খায়েশ হারিয়েছে চুম্বনের অধিকার
সাদা—কালোর ঠিকানায় সবুজ টিপের কপালে ৷
এপার—ওপারের বাঁধন তলায় দূর্বা গজানো প্রান্তরে
পড়েছে চলার মায়াছিলা পদচিহ্ন ৷
ফসলের সোনালী স্বপ্ন চুষে নিয়েছে প্রাণ ৷
গতির বাঁকে—বাঁকে দেখি অন্ন বিপ্লবের বাঁধ ৷
ভোগের নিংড়ানো বিষাক্ত রসে
মরে  জলের সন্তান ৷
ঢেকে গেছে মুখ হেলার নিক্ষিপ্ত অবগুন্ঠনে ৷
কাকচক্ষু দৃৃৃষ্টি আজ কালি গুলা আঁধারে ,
ভাসমান অবিনাশী ধ্বংসে—ধ্বংসে মৃৃৃত্যুর যপ ৷
নীল সভ্যতার গরম নিঃশ্বাসে উবে গেছে
হীম রাজ্যের শৈলকন্যার অশ্রু ৷
আগ্রাসি সৃৃৃৃৃষ্টির গ্রাসে পরিচয় হারায় আদিম বন্যতা ৷
প্রহরে—প্রহরের ঢেউকাটা কানফাটা হুইসেলে-হুইসেলে শুধু
পলি খাবলানো নাব্যবুকে জমাট পরাধীনতার
বিষাদ ৷
দখল গলা টিপে ধরেছে সরব অস্তিত্বের ,
যেখানে ঘোলায় মিশে আছে ফিনকি
দিয়ে বের হয়ে আসা গতরের রক্ত ৷
অমাবস্যায় শান্তনীরবের সাথে উতলা জোয়ারের
মৈথুন এখানে কালের অতীত ৷
একদা তরঙ্গে-তরঙ্গে যেখানে লেখা ছিল
কত হাসি-কান্না,কত সুখ-দুঃখের,
কত মিলন-বিচ্ছেদে আর কত প্রাণপ্রাচুর্য্যের
আখ্যান ৷