পাপের হুংকারে যখন কানের পাশ দিয়ে যায়-
নিঃশব্দ বিদারী জ্বলসানো বারূদের গরম বাতাস ৷
সগর্ব আক্রোশে দুটি লাল চোখ তাকিয়ে রয়
চরণে পতিত কম্পিত করজোড়ের পানে ৷
পাপ ফুঁসতে-ফুঁসতে আজ অলিম্পাসের চূড়ায়,
শোষকের অবিচার পৌচেছে দেবরাজ জিউসের লীলায় ৷
আতঙ্কে প্রশ্নাত্নক অস্তিত্বের কুলপঞ্জীতে মিইয়ে গেছে
তর্জনীরা সব নষ্টের খেল তোষনের কপট
গোলামীতে ৷
আজন্ম ঘামের আমানত কুরে-কুরে খেল
নিঃশব্দ ঘুনপোকা ৷
কালকাঁচের পিছনের অবিশ্বাস সাদা কাগজে
ট্রীগার চাপা হুমকিতে চায় বিশ্বাসের নিশ্চয়তা ৷
অমান্যে দূরদেশ হতে তেড়ে আসে নিপীড়নের
দান্ডা ৷
লোভাতুর গতরের পিয়াস মিটায় বিদ্রুপের-
অট্টহাসিতে অন্নসুড়ঙ্গে ঠেলে দেয়া
এক চুমুক সুরা ৷
অশ্রাব্য গালির নারকীয় বর্ষনে শক্ত বুটের তলায়
চাপা পড়ে রয় বদ্ধকপাটে বন্ধী
ছিড়ে দুমলে-মুছলে যাওয়া
লজ্জা নিবারণের বসন ৷
ঘর্ম-অশ্রুতে একাকার শোষিত
আপনি বাঁচা মুক্তির নামে মুচলেকায় দেয়
লা-জবাবের আশ্বাস হলুদের জিজ্ঞাসায় ৷
পঞ্চমের তাড়নায় বিপ্লবে বিস্ফোরিত
কলমের ডগা ৷
জাগ্রত বিবেক এড়ানো প্রলয়ে বন্ধ চোখেরা
মিথ্যার রুগ্নতায় পাড়ি জমায়
প্রশান্ত দ্বীপের অবকাশে ৷
সদূর পরাহত খল,মুখ থুবড়ে পড়ে রয় ফরিয়াদ,
সরবশূন্য হতাশরা তাকিয়ে রয় আনমনে
কুশীলবহীন মঞ্চের পিছু ৷
কবে আবার কালপর্দা ফেঁড়ে বেরিয়ে আসবে
কল্পরাজ্যের নায়কের অবতার
আলোকবর্ষী সংলাপে ?


(কবিতাটিতে আভিজাত্যের অহংকার,ব্যাংকের ৃৃৃৃৃৃৃৃৃঋণ খেলাফী,ধন্যাড্যশ্রেনীর অনিয়মের বিচারের নামে প্রহসন প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে ৷
যেমন:সাম্প্রতিক কালের বহুল আলোচিত
সিকদারগ্রুপ বনাম এক্সিম ব্যাংকের ঘটনা
অবলম্ভনে ৷  )