কেনরে খুঁজিস লাওয়ারিশ গোলাপ অসার অস্তিত্ব
ক্ষণভঙ্গুর এই মেদিনীতে ক্ষণিকেরও গন্ধমোদকে?
মানেহীনা অতলে প্রশ্নের পললে-পললে যখন
শুধুই অযৌক্তিক সিসিফাসের মিথ!
পিতা হাসে; খড়গের নিচে পুত্রেরও উৎসর্গে,
ছুড়তে-ছুড়তে দূষিত বিশ্বাসের প্রতি
ঊনপঞ্চাশতম কঙ্কর!
অবরুদ্ধ কোকুন ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে প্রজাপতি ৷
আঁতকে উঠে দ্বিধা নাশেরও প্রান্তে!
আত্মদোষে রুষ্ট যে আজ কিংকর্তব্যবিমূঢ়
রক্তাক্ত আকাশ!
আশায় ধরায় পচন মড়কময় অতীত ৷
চেয়ে থাকে বর্তমান চাতক হয়ে;
হারাবে বলে প্রজ্জ্বলিত উল্কার মত
নিঃসীম শূন্যতায় ৷
মধ্যাকর্ষণ কি হারিয়েছে টান?
উড়ছে ঐ দেখ সম্রাটের চুল ফানুস নির্বাণ ৷
পায়না দেখা মুক্তিরও শেষবিন্দুতে
বসন ছাড়া নগ্ন রমনীর
অবিমৃষ্যকারী স্মৃতিকাতরতা ৷
উগরে দেয় বৃত্তের ঘূর্নি বারোকোনের চাপ ৷
মৃত্যু ফলায় হতাশার সিঞ্চনে
আত্মহননী কুচিলা!
পতি হাসে জায়ারও নির্বাসনে,
রুক্ষ্ম হাহাকার ঊষরে;
কৃপা ফুটাবে বলে স্বর্গের রায়হান
নরকেরও তপ্ত অঙ্গারে!
তবে কাঁদিস কেনরে শুধু,
মুক্তো হারা শুক্তি
বিবর্ণ এই নশ্বরে?