প্রিয় ,                               বলছি অন্দর হতে
এলোকেশী                  ৮ই অক্টোবর , ২০২৩ইং


  হলে তবে তুমি
  সাদ্দাদের বেহেশতেরও মুক্তবেনী ৷
  চোখ বুঝে যেথায় বাউন্ডুলে
  আফিমও ধূম্রে ৷
  আঁকে কম্পিত হাত নগ্ন ইভ
  বাকাওলী বাগে ৷
  কামনারও কীলক
  ছেনিয়ে-ছেনিয়ে বানায়
  খায়েশে মেটানোরও প্রতিমা
  নিষ্পাপ প্রস্তরে ৷
  বুনো মুক্তিরও কর্কট হাত
  দুমলে-মুচলে ছুড়ে ফেলে
  হায়ারও কালো ঝালর !
  আমাযোনেরও মিথ চুইয়ে
  বেরিয়ে আসে যখন
  ক্ষণিকেরও পলকা সম্পর্কের নির্যাস ,
  দাঁড়িয়ে থাকে আবেগ
  মেডুসারও মস্তক হাতে
  স্থবির নিষ্প্রান বিবেকেরও সামনে ৷
  সাদা ষাঁড়েরও পিঠে
  নামে অবুঝও যৌবন সমুদ্র মন্থনে
  মিথ্যারও মায়াবী ইশারাতে ৷
  মাতাল খেয়াল পায় যখন
  কাঁচা মাংসেরও গন্ধ ,
  রূপ বিকোয় আফ্রোদিতিরও চাঁদ
  বিত্তেরও তেলেসমাতিতে ৷
  লড়ে পাঞ্জা জায়া-পতি ,
  নিলামে তুলে যখন
  অন্দরেরও অধিকার হুজুগেরও বেনিয়া
  চৌকাঠহীন আলয়ে ৷
  স্বরসতীর আশীর্বাদ বনে
  বাঈজীর নৃত্য ,
  ছুড়েছে জহরত যবে
  আদিম আকর্ষণ
  কিন্নরকন্ঠীরও গীতে ৷
  যখন চামড়ায় পড়ে ভাঁজ
  বসন্ত বিদায়ে ,
  পড়ে রয় বাতিল প্রণয়ী ভাগাড়ে
  যেন সিগারেটেরও লেজ
  খনিকেরও সুখটান শেষে ৷


  পতিব্রতা মানে বলছিনা
  রামেরও চিতায় সীতার বিসর্জন ;
  নয় বাদশা রহিমেরও সনে
  বনবাসে রূপবান ৷
  আবরুর সংযম যখন
  শুক্তির ভিতরেরও মোতি ,
  অন্যের গলার হার হয়ে
  কি করে জ্বালাই
  হার্মাদেরও বরাহ লোলুপ দৃষ্টি ?
  কেড়ে নেয় যখন
  কুপ্রবৃত্তিরও বারভূতের গ্রাস
  এক প্রস্থ ঘোমট ,
  কি করে বলি
  শালীনতা মানে
  শতচোখা আরাগোসেরও প্রহরায়
  আজও অন্তরীত রমনী ?
  অবিশ্বাসের প্রতি নয় কোন ক্ষোভ ৷
  যার সাধ হারিয়ে যাক না
  মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে
  ছলনাময়ী আসমানে ;
  চাই নজরেরও অন্তরালে বাঁচতে
  সম্ভ্রমেরও মহামনি হয়ে
  কলুষিতারও এই আঁধারে ৷


                                ইতি
                          তোমারি সখা
                 কীট বসেনি এখনও যে ফুলে