গুটে আসে ধারাল নখর রোমশও পদাতিক গালিচায় ৷ রক্ত-মাংসের ভোজনও শেষে,লালসার লোল পড়া জিহবা সস্নেহে  চাটে উত্তরসূরীরও তুলতুলে গতর ৷ সেরেঙ্গিতিরও হিংস্র হলুদ চোখ এখন প্রেমাতুর উদাসী সঙ্গ পিয়াসে ৷ হে দিন,দেখালি কেবল বেলা শেষে গোধূলীর রক্তিম হেয়ালি ৷ শুনতে কি পাস,অস্তাচলেরও পিছের সুপ্ত নিশুতিতে ঝিঁঝিঁর একটানা ডাক ৷ হে নাগিনী,তুই পাবিনা বৃৃত্তেরও বাইরে রসাত্মক রতীর আলীঙ্গন;নাগেরও মুষিক প্যাঁচানো প্রয়াসে ৷ প্রভাতে ঝরা শিউলি যখন খোসা ছাড়া কদলীর মত কিছু নয় ৷ এক ঘোর অমানিশার ধ্বংস নিঃশ্বাসে ঝাপসা হয়ে আসে ভিতর-বাহিরের
সকল দর্পিত ফারাক ৷ একি ঝোপে গোলাপ দেখে কাঁটা;আবার কাঁটা দেখে গোলাপ জীবনেরও পরম সত্যে ৷ কবিতার   কবিরও ভালবাসায় প্রাণাধিক প্রিয়ারও কেশ খোপায় জুড়ে তব এক দন্ড কন্টকও  প্রসূণ;মহা মিলনেরও এই চীর বসন্তের   খেলায় ৷
সময়ের ভাঁজে-ভাঁজে লুকানো মেকী অস্তিত্বের পুতুলনৃৃৃত্যেরও যবনিকাপাতে;অনেকের আমি
আর খন্ডিত অন্যের তুমি;যখন হাতে রেখেছি হাত দিনেরও শেষের এক শাশ্বত মিলনেরও অন্তরঙ্গে ৷
আসমান-জমিন মিলায়ে যেমন সদূরেরও ঐ দিকচক্রবালে;এক স্বর্গ ধারারও পবিত্র বিশ্বাসে ৷