অনেক দিন পরে  তোমার বাড়ির কাছে গিয়েছি।
তোমাদের বাড়ির দিকে তাকিয়েছি দেখেছি।
লাল ইটের ত্রিকোণা বাড়িটি অনেকবার।
দর্শন করেছি তোমার আমার দেখার স্থানগুলো।
শেওড়া গাছ,আমগাছ, ডুলডুলগাছ, তোমাদের বাড়ির জঙ্গল, পুরাতন ভিটা, যেখানে  তুমি আমি বসে
গল্প করতাম হাতে রেখে হাত চোখে রেখে চোখ ।
যেখানে জোনাকি জ্বলতো সন্ধ্যা বেলায়, আর পোকারা
গান করতো রাত্রি বেলা।
তোমার আমার রঙিন  স্মৃতি আমার চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়।
আমার সাথে কবি ইনতাব আলী ছিল সঙ্গের সাথী।
তার সাথে কথা বলতে বলতে আমার মন ভরে গেছে
নীল ব্যাদনায়,দু'চোখ ভরেছে জলে আর কান্না করেছি
হাসির আড়ালে। একবারো তোমাকে বলেনি হৃদয়হীনা,
একবারো তোমাকে বলেনি পাষানী।
আমি বার বার কবির সাথে তোমার প্রশংসায় মত্ত ছিলাম।
তুমি এত সুন্দরী ছিলে তোমার প্রশংসা করেও আমার কাছে মনে হয় কম হয়েছে।
আমি তোমার কন্ঠের পাগল ছিলাম।  যে কন্ঠ দিয়ে সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত্রি বেলায় আমায় ভালবাসি বলতে। আমি তোমার চোখের পাগল ছিলাম
যে চোখ দিয়ে আমি অন্ধকারে অনেক আলো খুঁজে পেতাম। আমি তোমার হাসির পাগল ছিলাম__যে হাসিতে হীরা, মনি, মুক্তা দিয়ে তাজ মহল বানায়তাম।
আমি তোমার  চুলের পাগল ছিলাম__যে চুল থেকে ভেসে আসতো হাসনাহেনা,রজনীগন্ধা,
জুঁই,চামেলি,বেলি,গোলাপ হাজারো ফুলের ঘ্রাণ।
তোমার গায়ের পারফিউমের গন্ধ শুনিনি অনেক দিন।
তোমার হাতের নীল রঙের ঘড়ির ফিতাটা দেখেনি অনেক দিন।
অনেক দিন হয় পাশাপাশি হাঁটিনা আকাবাঁকা  রাস্তায়।
অনেক দিন হয় দেখিনা রাখালের সেই ফ্যাল ফ্যাল করে তাকানি।
অনেক দিন হয় তুলিনা সুতিয়া নদী থেকে শাপলা, কচুয়া ফুল।
অনেক দিন হয় জুতা জোড়া হাতে বৃষ্টিতে হাঁটিনা কলার পাতা মাথায় দিয়ে এলেট মাটির পিছলা পথে।


________স্মৃতিময়
_________কাইউম আজাদ