কাজের সুবাদে গাজীপুর চৌরাস্তা
ভাড়া বাসায় আমার অবস্থান।
রুম মেড আরও তিনজন,
শাকিল, আলমগীর, বায়োজিদ মামা।
দু'জন আমাকে বড় ভাই সম্মোধন করে।
বায়োজিদ মামা শুধু আমাকে কবি ডাকে,
প্রতিদিন তাদেরকে আমার
নতুন নতুন কবিতা শোনাতে হতো,
তাও আবার আমার লেখা।
শিমুর সাথে আজ তিন বৎসর পূর্ণ হল রিলেশনশিপের।
অফিসে কলিগ বস রুমমেট বাসার সবাই জানতো,
শিমুকে আমি ভালোবাসি।
সন্ধ্যা ৭ টায় অফিস ছুটি হল আজ আমার,
বাসা ফিরে দেখি রুম ভরা মানুষ।
বাসায় যারা ছিল একটু পর পর, আমাদের রুমে উঁকি মারছে।
চার দিকে সাজানো রুমের বেলুন ও কাগজের ফুলে
পাশের রুমের ভাড়াটিয়া খাজা ভাইয়ের
স্পিকার বক্স আজ আমাদের রুমে বাজতাছে গান।
কেক
মোমবাতি
স্প্রে
অনেকগুলো গিফট সামগ্রী
টেবিল সাজানো।
আমি রুমে প্রবেশ করতেই সবাই বলতে শুরু করলো
হ্যাপি হ্যাপি রিলেশন ডে থার্ড ইয়ার।
আলমগীর স্প্রে করলো,
শাকিল ফুল ছিটাচ্ছে, মুচকি হাসি শাকিলের ঠোঁটে।
অফিসের কলিগ তারাও আসছিল।
আমার রুম মেডদের আমন্ত্রণে শুভেচ্ছা জানাতে,
আজকের রিলেশন পার্টিতে
কেক কাটার পরে শুরু হল মজার মেজিক খেলার পর্ব।
তার পরে সবাই খালি গলায় একে একে করলো গান। আনন্দে কেউ দিচ্ছে তালি,
কেউ বাজাচ্ছে থালি / গ্লাস,
শেষের পর্বে ছিল কনভারসন শিমুর সাথে ফোনে,
সে পেয়েছিল আনন্দের লাজ।