তুমি তখন ফিরতি পথে কলেজের ক্ষান্ত ছাত্রী,
আমিও তখন ক্লান্ত হয়ে অফিস থেকে ফিরছি;
একটা সিট বাসের মধ্যে, দুজনে সেখানে যাত্রী!
কে বসবে ওটাই তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি।


তুমিও স্পষ্ট ক্লান্তি নিয়ে ঝুঝেছ অনেক চাপ,
আমারও তো নেই ছাড় অফিসের বসের হাতে,
পুরুষ বলে কি ছেড়ে দিতে হবে আসনটাকে সাফ?
নাকি মেয়ে হয়ে দাঁড়িয়ে রয়ে আমায় ছাড়বে তাতে?


সমান সমান অধিকার যদি ফলাতে চাও এখানে...
তুমিও ক্লান্ত, আমিও শ্রান্ত, দুজনেই প্রায় সমান!
আমার বয়স একটু বেশি, তোমার কম যেখানে
অবস্থা নিয়ে তুলনা খানি হবে তো বেমানান।


নারীবাদ ফলাতে এসে মানবতাবাদ ভুলে
তুমি যদি যাও বসে যাও সিট খানি না ছেড়ে,
দাঁড়িয়েই ঠিক আমিও যাবো গন্তব্যে চলে
চাইবো না অসংরক্ষিত সিট খানি নিতে কেড়ে।


যদিও বসতে বললে, আমি তোমাকেই সিট দিতাম।
মায়ের জাতের প্রাধান্য ঠিক এখানেই আছে জেনো।
সবাই সমান হয়না এই অসাম্যে ভরা পৃথিবীটাই...
তবুও সমান সমান করে চেল্লায় সব জানিনা কেন!


গাঁজা-মদ-সিগারেট-বিড়ি-হেরোইন কিংবা খইনি,
করলে নেশা, নেশারু তারা, কেউ নেশার খোঁজ নেয়নি।
লিখছে মানেই লিখতে পারে, কবিতা হোক বা গল্প;
অনেক খুঁজেও গল্পের সাথে অন্ত্যমিলের খোঁজ পাইনি।


সবাই সমান নয়কো হেথায়, অসাম্যে ভরা পৃথিবী!
তুমি আমি সমান সমান বলছি শুধুই মুখে।
ভেদাভেদ যা ভগবানের করা, তাতে করি কী?
সমান বলে সান্ত্বনা দিয়ে মনকে রাখি সুখে।