চায়ের দোকানে তর্ক চলে জিতবে কে ভোটে এবার,
কোন দেশ, কোন দেশের জন্য হচ্ছে ক্ষান্ত-জেরবার।
কে পাঠালো যুদ্ধবিমান, কেইবা করল কব্জা দেশ–
কার সাথে কার দোস্তি হলো, কাদের আবার বাড়ল রেশ।


যুদ্ধ নয়, ঝামেলা নয়, এসব কেউ চায় না বলতে।
নীরব মিছিল চলবে শুধু, জ্বলবে শুধু মোমের পলতে।
নিন্দা করতেও নীরব থাকে, বুলি ফুটে শুধু চায়ের ঠেকে।
দেশ-বিদেশের যত খবর পাবে শুধু ওখান থেকে-ই।


ভোজের আগের রণের পাছে, এসব কথা মিথ্যে নয়।
যুদ্ধ লাগলে নিজের ঘরে, দেখি চুপ করে কে রয়!
ওর ঘর জ্বলছে জ্বলুক, আমার তাতে কী এসে যায়!
চায়ের ভাঁড়ে দিয়ে চুমুক, আমার তো দিন বেশ চলে যায়।


ভারত-পাক যুদ্ধ লাগুক তখন সবার খুব উৎসাহ!
রুশ-ইউক্রেন-আফগানিস্তানে আমাদের নেই কোন মোহ।
সে… যুদ্ধ হলে আমাদের কি? আমরা বেশ আছি ঘরে।
এসব নিয়ে মাথা ব্যথা বুদ্ধিজীবী আর রাষ্ট্রনেতা করে।
সাধারণ মানুষের কী ল্যাঠা? এসব নিয়ে ভাবতে যাবে...
একটু শুধু খবর শুনে চায়ের দোকানে কপ্‌চালেই হবে।


চায়ের দোকান এক আলাদা জায়গা, সব সংবাদের মাধ্যম ও–
চায়ের দোকান হার মানায় টুইটার-ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামও।