উঃ!
কনস্টিপেশন হয়েছে।
ভেতরের জিনিসটা–
বেরতে গিয়েও বেরোয়নি।
আটকে রয়ে গেছে।
অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি
চেয়ারের উপরে,
তবু, বেরোলো না।
না, না।
এটা সেরকম কাঠিন্য নয়।
তবে,
আটকে গিয়ে মনের আনন্দটা
কেড়ে নিয়েছে যদিও অনেকটা...
হাতে বিড়ি বা সিগারেট নিয়ে ও
সেই জ্বালা ঘুচানো যাচ্ছে না,
যতই গ্রন্থি তে ধোঁয়া দি না কেন।


এ কাঠিন্য বড়ই নির্দয়...
যতই চেষ্টা করি বের করে দেবো
পেটের ভেতরের গুড়গুড়ানি,
ততই বাইরের পরিবেশ আটকে দেয়
সেই বেরিয়ে আসা আবেগ টা কে।


এমনিতে যতটা মসৃণ ভাবে বেরিয়ে
যেত আর পরিষ্কার হতো চাপ,
সেটা বাইরের আর ভিতরের দুই
ভিন্ন পরিস্থিতিতে আটকে গেছে।


হাসলেও, আসলে একটা কবির
কবিতা লেখার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়...
আটকে যায় কথা, আটকে থাকে আবেগ।
পেটের ভেতরে জমা সমস্ত পচে
যাওয়া পরিস্থিতির বার্তা টা
বাইরের পচনের সাথে সামঞ্জস্য না রাখতে
পেরে বেরোয় না, আবার ভেতরে
আটকে গিয়ে হয়ে যায়...
কনস্টিপেশন।