তোমার সাথে হলো দেখা পূর্ণিমার এক সন্ধ্যায়।
খোঁপায় তোমার ছিল না তো কোনো রজনীগন্ধা।
তবুও এক সুঘ্রাণে আসতে চেয়েছি আমি কাছে।
কবিতার মতো হয়তো তুমি বেঁধেছ আমায় পাশে।
এ পাশ তো বড়ই কঠিন, ভাঙতে যেন চায়না...
তোমার প্রেমে পড়েছি যদি, এ আমার দায় না।


লালরঙা ওই কুর্তি তোমার, লাগছিল বেশ ভালো।
চোখ সরাবো তোমার থেকে? পারবে না দিক্‌পালও ।
দিগ্বজে কত লিখে গিয়েছে তোমার রূপের বর্ণন...
তার থেকে দু চারটে নিয়ে লিখছি এ কাব্যকথন।


রূপের মাধুরী, বড়ই চাতুরী, আর কথা বলার ধরণ:
কেমন যেন করে ফেলেছে আমায় অকাট্য বশীকরণ।
ধার নিয়েছি কথা তবু, নিঃসরে না কোনো ভাষ...
তোমার প্রেমে পড়েছি আমি। বন্দী করেছে পাশ।


চোখের মায়ায় হারিয়ে গেছি। হারিয়েছি মন টিপে...
চুলের দোলায় মন হারাবো, আটকেছে খোঁপার ক্লিপে।
একনারীতে সত্যি এবার ক্রাশ খাওয়া আমি থেমে...
তোমায় দেখে ক্রাশ খেয়েছি। পড়েছি তোমার প্রেমে।


কোলকাতার ওই অলিগলি আবার ডাক দেবে আমায়,
আসবো আবার এই ঘাটে, এক ঝলক দেখতে তোমায়।
শোভাবাজারের ওই চাপাতলা ঘাট রাখবে মনে স্মৃতি...
আমি তোমার প্রেমিক নই: এই আপেক্ষিক বিবৃতি।
বিবৃতি দিয়ে লিখবো আমি, লিখবো অনেক কবিতা...
তোমায় নিয়ে ভাববো শুধু। দেখবো তোমার ছবি টা।
আটকে যাবো আবার আমি, তোমার রূপের মাধুর্যে...
চাইছি কাছে শুধু তোমায়। তুমি অনেক দূর যে।
ভালোবাসার কল্পনাতে তোমায় নিয়ে লিখবো বই...
সুযোগ যদি দিলে সখী, দেখবে কেমন আমি প্রেমিক হই।