নামটা এবার বদলেই দিন, ধর্মতলা আর কি মানায়?
অধর্মের জন্য ধর্ণা দিয়েই নোংরা লেগেছে সাদা জামায়।
ধর্ণামঞ্চ নতুন করে গড়ছে আরো কী দিন কী রাত।
আমরা বেশ ঠান্ডা হয়ে মোবাইলে দেখি "মন কী বাত"।
দাদার পেশায় ধরাতে নেশা দিদি আরো উৎসাহ দেন!
চায়ের কেটলি হাতে নিয়ে মাস্টার্স বিএড সব মাঠে নামেন।
সুকুমার রায় বলেইছিলেন, "ধর্মতলায় কর্মখালি।"
কর্মের চিন্তায় বেকার সবাই, মাঠে বসার পালি।
"মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সুকরুণ সুরে,
মোর জীবনের রোজ কেয়ামত ভাবিতেছি কতদূরে।"
জসীমউদ্দীনের কবর কবিতার দুটি লাইন বেশ মেলে!
কবর খুঁড়তে যেতে হবে সবারে চাকরিটুকু না পেলে।
বাড়ির থেকে আজ বহুদূরে, মেসের খাটিয়ায় বসে,
চাকরির বিজ্ঞপ্তির আশায় দিন গুণছে অবশেষে।
ধর্মতলায় জায়গা নেই আর, সবাই মঞ্চ দিয়েছে...
আর সরকার তো বেকুব সেজে মজাটুকু লুটে নিয়েছে।
ভোটের বেলায় বড়োই চাপুলি, নানারকম প্রতিশ্রুতি।
ভোটের পরে তেলো মাথায় তেল, আর বেকারের জোটেনা রুটি।
আজও বসে ছিল ভাই বোন সবাই; সন্ধ্যে তে বাড়ি ফেরে!
চাকরির আশা ত্যাগ করেছে বেকারত্বের টিটকিরির ঘেরে।
জীবনানন্দ কি এই "বাংলার মুখ" দেখে আসতে চেয়েছেন ফিরে?
নাকি সেই বাংলার মুখের ঔজ্জ্বলতা ক্ষয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে?
বাংলার মেয়ের কাছে বঙ্গসন্তান সতীনের ছেলেমেয়ের মত!
এর থেকে আর কী বা আশা করা যায় ভিন্ন বেকারত্ব?
নীল সাদা পরলেই নীল-সাদার মত হওয়া যায় না!
তাই বলি, নাম বদলে দেন! ধর্মতলা নামটা মানায় না।
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে আমরা না হয় গিয়ে দাঁড়াই!
আপনি শুধু কবিতা মেলা খেলা দিয়ে করতে থাকুন বড়াই।
ধর্মতলায় মেলা বসুক। ধর্ণাকারির সংখ্যা আরো বাড়ুক।
উঠতি মাস্টার লাইব্রেরিয়ানরা এভাবেই জীবন সারুক॥