দিদির নামে ছড়া (অতি কিশোরের ছড়া অনুসরণে)
••••••••••••••••
তোমরা তাঁরে নিন্দে ক'রে দাও না যতই গালি,
তিনি কিন্তু মাখিয়েছেন নীল-সাদা কালি,
লোকে বলে "কাজ করেন না, শুধু লেখেন ছড়া,
জোর করে বই গুঁজলেও হাতে, দায় হয় যে পড়া।"
তেতো লাগে কাটমানিটা, চাকরি যেখানে হক।
টাকা খেয়েই, চাকরি দেওয়া, তাঁর লোকেদের সখ!
লাল-গেরুয়া সবার কাছেই গোঁয়ার এবং মন্দ,
মানুষদের ভাল রাখার জন্য লেগেই আছে দ্বন্দ্ব।
প্রচারে গিয়ে থাকে তাঁর মানুষের দিকে চোখ,
উন্নয়নের পর উন্নয়নে তাঁর বেশী ঝোঁক।
ভোটের কেয়ার লাগে নাকো, মানুষের জন্য ছুটি।
শুধু মানুষের উন্নয়নের তরে তাঁর হুটোপুটি।
বাম এবং রাম-জনে দেখলেই মাথা নাড়া,
জেনো, গদি দখলের ষাঁড়ে করলে তবে তাড়া।
টাকা ঢুকবে রয়ে সয়ে, যতই করুক তর্ক,
খাটা-খাটনি বিলাসিতা, বাড়িতেই মধুপর্ক।
যখন তখন হোক না ভুল, শোধরাবেন আহ্লাদে!
খেয়ালমতো কাজ করেন যা-ই, কষ্ট নেই তাতে।
সোজাসুজি যা হয় বুঝি, এটাই অদৃষ্টের চক্র!
তাঁর কথা বোঝে কম জনে, ভাবনাটাই তো বক্র।।


তিমির কান্তি ভদ্র