জানিনা আমার কলম তাদের জন্য কেন কিছু লিখছে না!
হিসেব পাই না হয়তো, তাদের সংখ্যা টা একটু বেশি বলে।
যারা সংখ্যায় কম, ঠিক ধরা পড়ে যায় একটা দুটো বাদে।
হিসেব করা যায় না সমুদ্র থেকে তোলা এক বালতি জলে।


তবে একটা বালতি বোঝায় করা জলের ও দাম আছে–
যদি গরম করে পানীয় বা নুন তৈরি করা যায় তার।
পানীয় দিতে পারে মৃত প্রায় জীবের জীবন ফিরিয়ে দিতে,
আর নুন দিয়ে হতে পারে ঘা এর উপর অত্যাচার।


সেনসিটিভ হলেই নুনের কাজটা ঠিক পাওয়া যাবে।
জ্বলন টা উঠবে ঠিক এতটা ই তীব্র যে কী বলি...
ভেড়ার পালের একটা ভেড়া গেলে বাদ- রেঁধে খাবে।
আর গরু মরলে ভরবে সেনসেশনের পাকস্থলী।


রবীন্দ্রনাথের মতো ফ্যান্টাসি কবিতা লিখে দিতেই পারি।
দু একটা ধ্রুবক রূপক তাতে জুড়ে দিলেই কেল্লাফতে।
আঁধার ভাষা দিয়ে যারা বোঝার, শুধু তারাই বুঝে নেবে,
কী বলা হচ্ছে ওই কবিতার লাইন গুলোর মারফতে।


সবাই তো আর নজরুল সুকান্ত হতে পারে না...
সরাসরি আঙুল তুলে বলতে পারে না, "চলো বিদ্রোহ করি!"
কেউ কেউ লেখার সাথে স্বাদ মত নুনের রূপক মিশিয়ে
বলে চলে "আমরাও কলম হাতে বিদ্রোহ করে চলি।"


তাই কিছু কলম চলছে ঠিকই সেই এক এক বালতির জন্য।
ভেড়ার পালের উল দিয়ে যতই সবার হোক সোয়েটার।
জাত ধর্ম বর্ণ নিয়ে দলাদলি সমাজের সব জায়গায় হবে।
কিন্তু হিসেব সমান করবে সেই এক নিয়মের দরবার।