তোমার সাথে আমার প্রথম আলাপ
কবিতার মধ্য দিয়ে হয়েছিল...
ছন্দের বিন্যাস আর মাত্রা কমবেশি নিয়ে,
ভালবাসার অক্ষর পরিচয়ের মাঝে,
ভাল্লাগে তোমায় বলেই ফেলেছিলাম।


কবিতার সাথে আমার আলাপ দুঃখ দিয়ে।
তুমি সেই দুঃখের জায়গায় আনন্দ হয়েছিলে।
শব্দচয়ন, সেমিকোলন, দাঁড়ি আর কমা;
এসব নিয়ে চর্চা হতো প্রতিদিন প্রায়...
কবিতা ভাল্লাগে, হয়তো তাই...
তোমায় ভালো লেগেছিল।


মাত্রাতিরিক্ত যতিচিহ্ন যেমন
কবিতার সমস্ত রস নিঃশেষ করে...
তোমার আমার প্রেমের এত সেমিকোলন,
ঠিক সেই কাজটাই করেছিল অজান্তেই।


তারপর হঠাৎ, একসাথে দুটো দাঁড়ি:
দুটো পূর্ণচ্ছেদ এসে পুরো ইতি টানলো
ভাব প্রকাশের মাধ্যম কবিতায়।


তুমি চলে গেলে ছন্দ হারিয়ে আমার থেকে দূরে...
আর আমিও অমিত্রাক্ষরে মিত হয়ে গেলাম।


যেখানে কবিতায় ছন্দের অমিল শুরু হলো...
আমরাও দূরে সরে যেতে লাগলাম...
একটা রশির দুই প্রান্তে দিলাম টান।
আর দড়িটাও ছিঁড়ে গেছে হয়তো।


এখন যতবার তোমায় নিয়ে ভাবি,
যতবার তোমার কথা দিয়ে কবিতা লিখি,
সেই প্রথম আলাপের কবিতার ছন্দ হিসেব কষি।
ভুল হয়েছিল কিছু?
নাকি এটাই হওয়ার ছিল,
এভাবেই আলাপের শুরু আর অন্তরার শেষ দিয়ে
দুই পক্ষের আলাপের অবসান হওয়ার ছিল।