সুনীল বাবু বলেছিলেন, “কেউ কথা রাখেনি।”
সত্যিই কেউ কথা রাখে না।
তেত্রিশটা বছর পর উপলব্ধি করেছেন তিনি।
আমরা তেত্রিশ মিনিটও শান্ত থাকতে পারি না।
কথার খেলাপ থেকে কত অভিমান
কত অনাদর আর কত ঈর্ষা নিয়ে বাঁচি।
কথা কেউই রাখি না।
শুধু পাহাড় করি মিথ্যা প্রতিশ্রুতির।


কালকে গাছের থেকে একটা পায়রা পড়ে গেল...
রাস্তায় পড়ে মাথায় খেলো খুব চোট।
হৃদয় দুর্বল ছিল বোধহয়...
তাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলাম না।
তার বুকে হাত দিয়ে বাঁচানোর শেষ চেষ্টাটুকু...
অজ্ঞাতবশে করা গেল না।


সাতদিন আগে...
সাতটা সেকেন্ড হয়তো কথা শুনেছি।
শুধু শুনেছি। বলার কিছু ছিল না।
সাতটা জন্ম পাশে থাকার অঙ্গীকার করা যায় না।
কথা রাখা চারটিখানি কথা নাকি?
তেত্রিশটা বছর পর কবি জেনেছিল কেউ কথা রাখে না।
তেত্রিশটা সেকেন্ডে আমি কীভাবে কথা রাখার কথা বলি?
আমিও কথা রাখিনি,
সেও রাখলো না।


কথা বলা হয়নি বলে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়...
তাই কথা বলা দরকার।
কিন্তু কথা দিয়ে কথা না রাখার যে চল চলে আসছে...
তারই পরিপ্রেক্ষিতে কথা রাখা যায় না।
“কেউ কথা রাখেনি, ..., কেউ কথা রাখে না।”