কেমন যেন প্রেমিক প্রেমিক ভাব জাগে
তোমায় দেখে কবিতা লিখি হঠাৎ করে
ভালো লাগে দেখতে তোমায় আড়চোখে
তোমার রূপে চুম্বকের মত আটক করে।


নেশা জাগায় চিকন গালের আলোর ছটা
মাথার কেশের ঢেউয়ে আমি মেতেই উঠি
চোখের কাজল ডাক দিয়েছে যেতে কাছে
অক্ষিগোলক- খাস্তা কচুরি কড়াইশুটির!


কানের দুলের ঝঙ্কারে যে সুর ওঠে
বুকের মাঝে উথাল পাথাল নদীর জল
আবেগ বসে লিখতে বসি শব্দ ভেজে
তোমার রূপের গরিমা তো নীলোৎপল।


রাগ রাগিণী হচ্ছে গাঁথা গলার স্বরে
মিষ্টি হাসি দিচ্ছে ছটা হিরের খনির
তোমায় নিয়ে লিখতে যদি বলো সখী
আমি কি আর তেমন করে লিখতে জানি?


ওই চোখেতে ভেসে যেতে ইচ্ছে হয়...
ইচ্ছে হয় ডুব দি আমি তোমার ঠোঁটে...
না জানি কোন মায়া জড়ানো ও রূপ তোমার!
মনে শুধু প্রেমিক প্রেমিক ভাব ফোটে।


প্রেমিক প্রেমিক ভাবটি নিয়ে ভাবতে বসে
তোমায় নিয়ে দু চার লাইন লিখছি ভেবে।
তোমার ওই মুখের পানে আমি চাইছি শুধু;
তোমার রূপের শ্রদ্ধাঞ্জলি কি এই কবিতা হবে?


ভেবে নিয়ে জানিও তবে মনমোহিনী
কেমন লাগে এমন করে চাইলে কবি।
একটু একটু লিখতে জানা কবির কথা
আঁকছে দেখো তোমার ওই রূপের ছবি॥



আমার এক বান্ধবী, দেবর্পিতার উদ্দেশ্যে এই কবিতাটি লেখা।