দিগন্তের দিকে তাকিয়ে দেখি শুভ্র নীলাকাশ
তারার ঝিকিমিকি আর জোৎস্নার প্লাবিত আলো।
ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত শহরের
একমাত্র ক্লান্তহীন আমি।
সোডিয়াম লাইটের নিচ দিয়ে ছুটে যাওয়া
গাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে
বিস্ময়ে হতবাক।
রাত এত হলো!
এরপরও ছুটে চলা?
সম্পর্কের শিকলগুলো
সময়ের অভাবে আলগা হতে হতে
একেবারে শুন্যের কোটায়।
সামাজিকতা রক্ষার্থে এরপরও
একই ছাদের তলায় সংসার নামক
বস্তুটিকে টেনে নিয়ে যাবার নিরন্তর ব্যর্থ চেষ্টা।
সময়ের অভাবে প্রিয় মানুষটার হাতে হাত রেখে
একটু ঘুরে বেড়ানো তো দূরে থাক
একটা ফোন করে ‘কেমন আছো’ জিজ্ঞাসার সময় হয়ে ওঠে না।
সকাল পেরিয়ে মধ্যদুপুর-
ক্লান্ত বিকেল শেষে বিষন্ন সন্ধ্যা।
নিশুতি রাতের অন্ধকারে-
অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে
ক্লান্ত প্রেয়সী তখন বাসি হাস্নাহেনা ।
দিনের সব ব্যস্ততা শেষ করে যখন
সাজানো ফ্লাটের চার দেওয়ালে,
খাওয়া দাওয়া শেষ করে তখন
আবারো নতুন দিনের ব্যস্ততার অপেক্ষায়।