মনের গভীরে সুপ্ত থাকা
প্রেমের ফল্গুধারা,
প্রভুর ছোঁয়ায় বহে নিরন্তর -
আনন্দ পাগলপারা।

দিল্লি থেকে ব্যাঙ্গালোর
চলে এলাম উড়ে,
ফের আবার দিল্লি যাবো
NH-48 ধরে।

অনেকদিন পরে আবার
দাদুর দেখা মিলে,
চেটে পুটে আদর করে
নাতি ভরিয়ে দিলে।

সকাল থেকেই হুড়ুম তারুম
বাক্স-প্যাঁটরা বাঁধা,
খালি পেটেই নাচন কোঁদন
প্রেমের সুরে সাধা।

পরিবার সাথে সড়ক পথে
ব্যাঙ্গালোর থেকে দিল্লি,
চারটি দিন ও তিনটি রাতে -
ধকল খুবই বুঝলি!

প্রভুর চরণ মাথায় নিয়ে
রওনা দেব আজ,
তোমরা সবাই থেকো সাথে
ভালোবাসাই কাজ।

বছরের এই প্রথম দিনে
প্রণাম জানাই তোমায়,
জীবন তোমার উঠুক ভরি
ভালোবাসা ও ক্ষমায়।

তোমার আমার এই যে বাঁধন
বিধাতারই প্রেম,
দিনটি কাটুক রসে বসে, এই
যাচ্‌ঞা রেখে গেলেম।

গুরু আমার, গুরু তোমার,
গুরু সবাকার,
সদ গুরু আর ভগবান
সব একাকার।

সংসার ঘাড়ে এদিক সেদিক
ঘোরা বড় দায়,
শুধু গুরুর কৃপায় জীর্ণ তরী
পার পেয়ে যায়।

প্রভুর নাম স্মরণ করে
শুরু হোক কাম,
দিনের মধ্যে সুযোগ পেলেই
জপ সেই নাম।

মায়ের কৃপার নাইরে সীমা
অসীম, অপার -
ভক্ত শুধু চোখের জলেই করে
ভবনদী পার।

কর্তব্য ও ভাঙা কোমর
টানাটানি করে,
এরই মধ্যে কাটছে দিবস
প্রভু নাম স্মরে।

স্বদেশ ছেড়ে বিদেশ যাবো
রাত্রি তৃতীয় প্রহর,
মনটা হয়ে আছে ভারী
বুঝলে বন্ধু প্রবর।

যাত্রা পথে আছি বসে
আদিস আবাবায়
চেষ্টা করি যদি শুভেচ্ছা
সকলকে জানানো যায়।

দিনের শেষে ঘুমের দেশে
যাওয়ার আগে ভাই,
একটিবার গুরুদত্ত বীজমন্ত্র
জপ করা চাই।

তোমার আমার প্রেমের টানে
ভাসি সারাক্ষণ,
সত্য, সুন্দর ভালোবাসায় ক্রমে
লুপ্ত হয় মন।

দিবা রাত্রি অঝোর ধারায়
বৃষ্টি ঝরে যায়,
অফিস যাওয়া, কাপড় শুকানো
সত্যি ভীষণ দায়।

জ্ঞানে অজ্ঞানে করো
প্রভু দত্ত নাম,
জীবনে মনুষ্যের এই
একটিমাত্র কাম।

গুরু মন্ত্রের কি যে মধু
জানতে হলে মন,
অহোরাত্র, চলতে ফিরতে
জপ সর্বক্ষণ।

তোমাদের এই ভালোবাসায়
বেঁচে থাকি আমি,
পরিবর্তে ভালো কামনা করি
জানেন অন্তর্যামী।

মাতৃভাষা, মাতৃভূমি
গ্রাম বাংলার টান,
উদাস করে যখন তখন
ব্যথায় ভরে প্রাণ।

দিনের শুরু হয় গো আমার
ভেবে তোমার কথা,
যেভাবেই থাকো, সুখে থেকো
বন্ধু যথা তথা।

বন্ধু তোমার ভালোবাসার
কি দিব প্রতিদান,
প্রভুর সুরে প্রভুর কথায়
শুনায়ে যাই গান।

প্রখর দহন কালে
শুন দিয়া মন,
নুন জল পান কোরো
তুমি সর্বক্ষণ।

অহং বড় বিষম ব্যাপার
সব আপদের মূল,
প্রভুর নামে কবে যাবে
ভেবে হই আকুল।

তোমার আমার ভালোবাসার
অন্তরালের সুর,
চিরন্তনী সে যে বাজে সদা
মন করে মেদুর।

জীবন নদীর চলার পথে
ঝড় তুফান ভারী,
গুরুর হাতে বৈঠা দিয়ে
গলা ছেড়ে গান ধরি।

প্রাণের মানুষ
প্রাণে ধরে
বাস করি
সকল ঘরে।

ষড়রিপুর পারে যেতে
শোন রে ভোলা মন,
সকাল সন্ধ্যে গুরু মন্ত্র
জপ অনুক্ষণ।

একেলা এসেছ একেলা যাবে,
তবু মায়ার ঘেরে,
প্রেম, প্রীতি, লোভ, লালসা বন্ধনে
কেন জড়াও আপনারে?

একেলা কোথায় কবে ভবে
ছিলি রে ভোলা মন,
পরম পিতা সংগোপনে
পাশে আছে অনুক্ষণ।