নানা রূপে নানা স্বাদে
আছো ওগো মিষ্টি,
বিধাতার তুমি এক
অপরূপ সৃষ্টি।


চন্দননগরে জলভরা
বাঁকুড়ায় প্যাড়া,
জনাইয়ে প্রসিদ্ধ
নাম মনোহরা।


সরভাজা নামকরা
কৃষ্ণনগর ধামে
মানকরের কদমা
চেনে লোকে নামে।


ছানার জিলিপি খেতে
যাও কাটোয়া,
জয়নগরের বিখ্যাত
নলেনের মোয়া।


শক্তিগড়ের ল্যাংচা
জলপাইগুড়ির চমচম,
স্বাদে জুড়ি মেলা ভার
মালদার রসকদম।


রানাঘাটের পানতুয়া ও
শান্তিপুরের নিখুঁতি,
যদি না খেয়ে থাকো
তুমি দুর্ভাগা অতি।


বর্ধমানের সীতাভোগ
আর মিহিদানা,
খেয়ে দুটো দরবেশ
ডাক দিয়ে আনা।


লালমোহন নাম তার
রসে ভরা বুক,
শিলিগুড়ি সিধে যাও
খেয়ে পাবে সুখ।


কানসাট মালদহে
খাওয়া হলে পরে
চলে যাও সিউড়ি
মোরব্বার তরে।


মানকরের কদমা
নবদ্বীপের দই,
খেয়ে তবে বুঝবে
সত্য না মিছা কই।


রসমালাই খেতে যাবে
রামপুরহাট,
মোচা সন্দেশ পাবে
বেলিয়াতোড়ের ঘাট।


গুপো সন্দেশ আছে
গুপ্তিপাড়ায়,
রসগোল্লা ঘরেই পাবে
খোদ কলকাতায়।


মুগের জিলিপি আহা
পঃ মেদিনীপুরে,
মতিচুরের লাড্ডু
খাবে বিষ্ণুপুরে।


আলিপুরদুয়ারে নেমে
খেও কমলাভোগ,
বহরমপুরে এসে
ছানা বড়া চোখ।


এছাড়া বোঁদে আদি
বাদ গেল যারা,
শনপাপড়ি, গুজিয়া
চন্দ্রপুলি তারা।


মিষ্টান্ন পাঁচালী এবে
পেশ করা হল,
না চাখিলে এজীবন
বৃথা বহে গেল।।