অদূরে যে বহ্নিশিখা ডাকছে তোমায় অহর্নিশি
জয়ের পথে দাও ভেঙে দাও সকল বাধার দেয়াল
পুষ্পমাল্য পড়াবে গলে দিন গুনে যায় রবি-শশী
ব্যাঘ্রের তরেই গাঁথা সে মাল্য,পাবে না যে ধূর্ত শিয়াল।


মুখ লুকিয়ে আছে যারা তিমিরে নিমজ্জিত প্রাণ
জ্বেলে দাও আলো সেই প্রান্তে,ওরা দেখুক দুনিয়া
ওদের দুর্দশা দেখে অবাক পৃথিবী শোকে মুহ্যমান
সকল ভীতি হোক উল্লাস তোমার বজ্রকণ্ঠ দিয়া।


আশার রাজ্যে নেই হতাশা দুচোখ মেলে আকাশ দেখো
মুক্ত বাতাসে পরম সুখেতে দাও ফুলিয়ে দেহের বেলুন
বিষাক্ত সর্পের মত ফনা তুলে মহাবিদ্রোহে যুদ্ধ শেখো
সকল পাষণ্ডের লিপ্সা ভেস্তে দাও চিরতরে তুমি টাইফুন।


প্রলয়ের শরসন্ধান কর বীর,উঠাও তোমার তির-ধনুক
এবার বধিবে যমের অবধ্য অবাধে,তুমি যে শান্তির দূত
মুক্তোর সন্ধান দিয়ে গেছে অতল সমুদ্রে ডুবন্ত ঝিনুক
মানবীর গর্ভে বেড়ে ওঠা শ্রেষ্ঠ সন্তান মানবের সুত।