প্রকাণ্ড এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে;
হাতড়ানো অস্তিত্বে-
চোখ ঝলসে ঝলসে যায়!
মুহূর্তরা বাসী হয়-
এক লহমায়।
আমায় ঘিরে আবর্তিত হয়;
এক নিরাকার নীহারিকা।


অতিজাগতিক প্রেতেরা সব
ফিসফিসিয়ে ওঠে, খিলখিলিয়ে হাসে।
এপাশ-ওপাশ ছুটে যায়
আলোর রংধনু।
আমি অবাক হয়ে যাই!
আমি উন্মাদ হয়ে যাই!
হঠাৎ বুঝি পায় কান্না বা হাসি।
চমকে চমকে ওঠে-
নাম না জানা রঙের ঝলকানি।
আমায় ঘিরে গর্জে গর্জে ওঠে-
এক নিরাকার নীহারিকা।


সময় ঠাহর হয় না এখানে।
এখানে বসে এক অদ্ভুত,
আলো-আঁধারের মেলা।
চিন্তাদের সব ধৈর্যচ্যুতি ঘটে,
ইন্দ্রিয়জুড়ে আজ কেবলই-
অতিপ্রাকৃতের খেলা।
পুড়ে যায় মুহূর্তরা সব! উবে যায়;
নিঃশেষিত হয় চুইয়ে চুইয়ে।
উল্কাদূতেরা আসে রথ সাজিয়ে।
খবর পড়ে যায়।
খবর দিয়ে যায় আমায়।
গল্প বলে যায় আমাকে ঘিরে থাকা-
এই অদ্ভুত নীহারিকার।