বিয়ের দিনে সাজে শহর,
চারদিকে ঝলমল আলোকসজ্জা
মধুর সুরে বেজে ওঠে দামি সানাই,  
পানসি হাঁসের মতো ভেসে আসে  
এলাকার সব নামি-দামি বড়লোক ভাই।  

দাওয়াত যায় তাদের নামে,  
যারা হাতে তুলে সোনার থালা,  
তারা হাসে এবং ছবি তোলে,  
আর নিচু শ্রেণীর মানুষগুলো থাকে
খালি হাতে, নিরালা।

আর মৃত্যুর দিনে?  
নেই কাঁসার থালা, নেই আলোকসজ্জা,  
শুধু নিঃশব্দে বয়ে যায় কান্নার ধারা।  
তখন কোথায় বড়লোকেরা?  
তখন তারা ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে।  
কবর খুঁড়ে, কাঁধে তোলে, মাটি দেয়—  
পাড়ার সেই গরিবেরাই,  
যাদের মুখ নেই শহরের আয়নায়।

একপাশে সোনা চুড়ি, অন্যপাশে ছেঁড়া লুঙ্গি,  
জীবনের গল্পটা এভাবেই গড়া—  
বিয়েতে গরিবের কোন স্থান নাই,  
অথচ মৃত্যুতে তাদেরই সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন হয়।

*বার্তা:*  
এই কবিতা আমাদের সমাজের বাস্তব ও বেদনাদায়ক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা  করেছি। যেখানে আনন্দে শ্রেণি দেখা যায়, কিন্তু মৃত্যুর সময় দরকার পড়ে সেই সব মানুষের, যাদের আমরা অনেক সময় অদৃশ্য ভেবে ফেলি।