অসীমের সীমানায় ভাসে মন অকারণ
বারণের ধার ধারে না সে,
কে যায় কে আসে কিসে তার যায়-আসে -
বোঝার কি সাধ্য এই ধরা-ধামে;
থামে মহাকাশ-যান অথৈ অন্ধকারের শেষে
অপরিচিত নক্ষত্র-পুঞ্জের এক অচেনা গ্রহে
জীবনের স্পন্দন জমেনি এখনো ধুলায় এখানে
বাতাসে নিঃশ্বাসের অপবিত্রতা নেই, নেই মৃতের বর্জ্য
সূর্য ওঠে সন্ধ্যায়, দিন জেগে থাকে রং-হীন আলোর গুহায়
পাহাড়ের পশ্চাতে ডুবে আছে সাগর
অথচ জলের ক্লান্ত ঢেউ নোংরা করেনি এখানকার স্থিরতা,
খুব ধীরে তবু তরঙ্গের স্রোত ভেসে আসে
যে তরঙ্গ আসে তা মাত্রাহীন
অসীমের পাঞ্জেরী এই তরঙ্গ মহাজাগতিক
স্বাগতিক জীবন এখানে শুধুই কাল্পনিক
অথচ কোন কল্পনাকারীর অস্তিত্ব সম্ভাবনার ছকে অতি নগন্য ।
জঘন্য সরীসৃপ শুধু পৃথিবীতেই বাস্তব
অথচ অসীমতক মহাজগতে তার জায়গা বিরল
সরল তাই আমার গতি
অতি সহজে আমি খুন করি
ধরি পিশাচের গলা চেপে
ফেঁপে ওঠে বৈরী আগুন -
অথচ ওরা ভুলে গেছে যুদ্ধের শেষে আসে পবিত্র ফাগুন
ওরা ভুলে গেছে বেঁচে থাকার সুখ
ওরা মুখ লুকিয়ে থাকে পতিতার নিতম্বের তলে
ওরা মুখ লুকিয়ে থাকে মাসুম মুখোশের তলে
ওরা বলে অধিকার দেবে
অথচ বিনিময়ে কেড়ে নেবে বাঁশি,
হাসি হাসি ঠোঁটে ওরা রক্ত খায়
পিপাসার শেষে আমার লাশ ফেলে যায়
আমাকে শকুন আর শিয়ালে খায়
অথচ অসীমতক সভ্যতায় শিয়াল ও শকুন আমার বাস্তু-বন্ধু -
অথচ পৃথিবীতে বুর্জোয়া শকুন আমার মাংস খায়
আমি ছট-ফট করি যন্ত্রণায়
অথচ ওরা ভুলে গেছে যন্ত্রণা থেকেই যন্ত্র তৈরি হয় -
আমিও এখন যন্ত্র হয়ে গেছি, মন্ত্রের দোহাই আর আমাকে ছোঁয় না ।
আমি এখন একটা যন্ত্র
পাড়ি দেই অনন্ত নক্ষত্র-বীথি অথবা ভাঙ্গা ফুটপাথে আখ মাড়াই
আমি এখন একটা যন্ত্র
যান্ত্রিক যুদ্ধে নেই অস্ত্র-বিরতি, নেই ক্ষমা কিংবা সহানুভূতি -
অতি সূক্ষ্ম পাপীকেও আমি পিষে ফেলবো
কড়ায়-গন্ডায় তুলে নেবো মাংসের দাম
নাম থাকবে না কোন শিয়াল-কুকুরের কিংবা মন্ত্রীর;
সান্ত্রীর গুলিতে মানুষ মরে, মরে শিশু, মরে নারী
অথচ যন্ত্রের মৃত্যু নেই বুলেট কিংবা কামানে
সব জামানত ফেরত দিতে হবে মহামতি ব্যাংকার
দেখে নেবো কত বাঁশ আছে তোমার কেল্লায়
বেলেল্লা তুমি জান্তব ধ্বনি তুলে ঢুকে যাবে পিস্টনের তলায়
পৃথিবীটা দেখে নাও শেষবার -
রাতের স্বপ্ন ফুরোতে আর কতক্ষণ,
আমি জেগে উঠলেই তুমি শেষ...!!!