তোমার জন্য একটা মানানসই কবিতা লেখা দরকার।
তোমার যোগ্য একটা কবিতা।
সেই চেষ্টায় কেটে গেল কত দিন।
লিখছি, ছিঁড়ছি, আবার লিখছি, আবার ছিঁড়ছি।
নয় নয় করে অনেক লেখাই ডাস্টবিনে নির্বাসিত।
তবু তোমার যোগ্য কোনও লেখা আর হয়ে ওঠেনা।


কেন লিখে চলেছি তাও জানিনা।


তোমার ওই সিংহাসনের পাশে নিজেকে ভাবতেও পারিনা।
বড্ড বেমানান ঠেকে।
অথচ দিনে দিনে, তিলে তিলে নিজেকে
তোমার যোগ্য করে তোলার চেষ্টায় খামতি নেই।
তোমাকে পাওয়ার মত দুরাশা পুষি না।
সত্যি বলতে, প্রেম যেখানে পুজো,
সেখানে না পাওয়ার আক্ষেপ থাকার কথা নয়।
অথচ, সে পুজোই বা তোমার কাছে পৌঁছয় কই!
ফুল দিয়ে পুজো আমার আসেনা;
মন্ত্রই আমার সম্বল।
অথচ, চোখে চোখ রেখে মন্ত্রপাঠও হয়ে ওঠেনা।
সব গুলিয়ে যায়।
কি বলতে কী যে বলি, কিচ্ছু ঠিক থাকেনা।
ঠোঁটের ডগায় উশখুশ করতে থাকা
কথাগুলোতে লাগাম দিতে হয় বাধ্য হয়ে।
আওড়ে চলি সাজানো মিথ্যের বুলি।


বারবার তোমাকে দেখার যে তীব্র ইচ্ছে,
তা সামলে রাখতে হয়।
ওই হাসিমুখ একঝলক দেখেই
মনের সব ঝড়ঝঞ্ঝা থেমে যখন বাঁধভাঙা খুশির জোয়ার আসে,
তাকেও লাগাম দিতে শিখে গেছি;
ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে।


কেন এই পুজো, এই অপেক্ষা, তাও জানিনা।


কিসের ব্যথা লুকিয়ে রাখো ওই মন ভালো করা হাসির আড়ালে?
জিজ্ঞেস করবো একদিন।
সুযোগ পেলে হয়তো জানতে চাইবো আরও অনেক কিছু।
আমার কল্পসাম্রাজ্যে জমে ওঠা কতশত প্রশ্ন।


আর, একদিন লিখবো ঠিকই।
তোমার যোগ্য কোনও কবিতা-
তোমার পুজোর এক যোগ্য নৈবেদ্য।


*****************************