রাত তিনটে দশ,
শুনশান পাড়া,
মুমূর্ষু বৃদ্ধের প্রাণের মত দপদপ করছে স্ট্রীটলাইট গুলো।
বুকের ব্যাথাটা আজ একটু বেড়েছে।
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিচ্ছে বেহায়া কোকিল।
থেকে থেকে ব্যাথায় কাতরে উঠছে সমব্যাথী কুকুরটা।


চাঁদের হাসিমুখ আজ দেখতে পাইনি,
অপদার্থ অযাচিত মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে
আমার চাঁদ...
চাঁদ আমার...


আমার টুঁটি টিপে ধরেছে এক অদৃশ্য হাত,
দমবন্ধ হয়ে আসছে...
চিৎকার,হাহাকার,আর্তনাদ সব গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠছে।


নিজেকে বড় নিঃস্ব লাগছে,
অস্বস্তি... বড়ই অস্বস্তি...
তলিয়ে যাচ্ছি আমি এক নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে।
ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাচ্ছে সব,
ফুরিয়ে যাচ্ছি আমি।


ব্যাথায় যন্ত্রনায় চোখ ঠিকরে বাইরে বেরিয়ে আসছে।
হৃৎপিন্ডটা পাঁজর ছিঁড়ে বেরিয়ে এসে গড়াগড়ি খাচ্ছে মেঝেতে...


স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি জানলার বাইরে খিলখিলিয়ে হাসছে রাক্ষুসী পিশাচী রাত।
আমার চাঁদকে সে ছিনিয়ে নিয়েছে,
আমাকেও শেষ করে দিতে চায়......


© Kanak Kanti Bera