পৃথিবী ও  পতিতার মাঝে তফাৎ কোথায়?
জোয়ারভাটার ঋতুস্রাবে বসন্ত আসে আম্রপালীর প্রাসাদে, নিয়ন আলোয় সরাবের ফুল ফুটে-
নব্বুইভাগ পুঞ্জিভূত সম্পদের মনিবেরা ভ্রমরেরবেশে আনাগোনায় মত্ত রোজ! খদ্দের সাজে -
দুশো পুঁজিপতির সাথে লিপ্ত সিৎকার দেওয়ালে আছড়ে পরে রাতভর
লোহিত দানবীয় কাম ফতুর করছে তার পবিত্র জল, নির্মলবায়ু, বিরান ভান্ডার-
লুট হয়ে গেছে সে!!!!


শুধুই কার্বণ ডাই অক্সাইডের কালিমা তার মুখে, বুকে হায়েনার আঁচর-
জল বেরুলেই বাবুদের চোখে ঘৃণিত আবার
পতিতার মতই পতিত!


আর আমার স্বাস্থ্যহীনতায় তোমার বর্ধিত মেদ
রিজিকের খোঁজে হাঁটতে হাঁটতে মৃত্যুর ওপারে পারিজমানো মজুরেরা আজ ধর্মীয় গ্রন্থের হলফ


যে অন্ধকারে সকল জীবের পূর্বপুরুষের পরাজয় তা নিকষকালো
জন্মশালায় ঢেলে আসা জীবাশ্মর মতো শুভ্রতার কালো
সন্তানহারা মায়ের হৃদপিন্ডে জমাটবাঁধা রক্তের মতো কালো
দামামা বাজানো আগুনের হল্কায় ছড়ানো যুদ্ধের মতো কালো


অথচ তোমাদের সৃষ্ট ইশ্বরের মতোই মৃত্যুহীন আমাদের অভাব
প্রতীমা দেখেই বুঝেছিলাম মানুষ-ই স্রষ্টা বানায়
সস্তায় করা রাজনীতির সওয়াব চা এর বদল মাত্র!