যদি  আর-কারে ভালোবাস,
যদি আর ফিরে নাহি আসো,
তবে, তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও,
আমি যত দুখ পাই গো॥
বাইরে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
হয়তো মাঝরাত থেকেই বৃষ্টি নামবে।
আলো নিভিয়ে শুয়ে আছি।
মোবাইল স্ক্রিনের আলোয়
সাদা বিছানার চাদরে আঁকা
লাল লাল ফুলগুলো জ্বলছে।
তারপর আবার নিবিড় অন্ধকার।
অন্ধকারে দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে
একটা মানুষ নিজেও অন্ধকার হয়ে ওঠে।
অল্প শীত করছে।
পাশ বালিশটা বুকের কাছে
আরো খানিক জড়িয়ে নিতে হলো।
একটা উড়োজাহাজ
মাথার ওপর দিয়ে চলে গেলো।
ওপরের গানের লাইনগুলো
কেউ যেন টাইপ রাইটারে লিখে
মাথার মধ্যে ঝিম ধরিয়ে দিচ্ছে।
কোনো প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বলছে
ভেবে নিতেই বুকের ভিতরটা হিম হয়ে আসে।
এমন নিঃসংকোচে, নির্দ্বিধায়
কীভাবে কেউ কাউকে যেতে দিতে পারে।
গহীন, গোপন দুঃখ যত পেরেকের মতো
পুঁতে নিতে পারে বুকে?
প্রেয়সী চলে যাচ্ছে তার নব্য প্রেমিকের সাথে,
অন্য কারোর বুকে মাথা রেখে খুঁজছে সুখপাখি।
আর পুরনো প্রেমিকটি
আকাশের সমস্ত উদারতা ছড়িয়ে দিয়ে বলছে, যাও।
তুমি যদি অন্য কাউকে ভালোবাসো তবে যাও।
যদি ফিরে আসার সম্ভাবনা
আর নাও থাকে তবু যাও।
তুমি সব পাও। যা চাও তাই যেন পাও।
আর সবটুকু দুঃখ আমার হয়ে থাকুক।
আমি তোমার বিরহে
রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস,
দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস।
বিরহের কী সুখ
তা বোধহয় সাধারণ মননে
উপলব্ধি করা যায় না।
মানুষ যখন চলে যায়
একেবারে তখনই বোধ করি
তাকে সবচেয়ে প্রবলভাবে ভালোবাসা যায়।
কামনাহীন, নৈসর্গিক ।
যেভাবে আল্লাহকে ভালোবাসে ভক্ত।