তোমার আকাশ, তোমার নদী-পাহাড়
তোমার মনে রঙের যত বাহার
কাব্য হয়ে ভাসায়, ভেসে চলে
ডুবতে চেয়ে ঝাঁপ দিয়েছি জলে।


আমিও এক পাহাড় দেখেছিলাম
অনেক দূরে, কি যেন কি নাম!
ঘন সবুজ, চুড়োয় জ্বলে আগুন
নাব্য নদী পায়ের কাছে, তরুণ


সেই পাহাড়ই, সেই যে নদীখানা,
সাকিন যার জংলা-পরগণা
জংলি কিছু সরলমতি মানুষ
ওদের ঘরে নিত্যি আনাগোনা


পাহাড়-নদী ওদের ভালবাসা
ওদের শ্বাস, ওদের বুনো ভাষা
উজাড় ক'রে হৃদয় সামিয়ানা
সহজ লতাগাছের মত আশা


দেখেছিলাম ওদের নদী-পাহাড়
ডুব-বিকেলে রোদের ঝিলমিলি
ফুটলে চোখ হাজার নীল তারার
বলেছিলাম, কোথায় তুই ছিলি!


তোর মত কি পাহাড় ভালবেসে
জীবন বাজি রাখতে আমি পারি?
জংলি, তোর কবিতাময় দেশে
ছোটাই লোভে সভ্যতার গাড়ি।


তোর কবিতা রোজের জীবনধারা
একান্ত তোর জংলা পরগণা
কাড়তে এলে বুক চিতিয়ে দাঁড়াস
বলিস, 'আমি এ দেশ ছাড়ব না।'


এই কবিতা সত্যি নদী-পাহাড়
আব্রু তার রাখবে ওরা লড়ে
এই কবিতা কবিতা নয় আমার?
ভাসব কবে ভাঙা বাঁধের তোড়ে?