ও পারের একখানা মেঘ এসে ভেজাল শরীর!
ক্লান্তি ধুয়ে সাফ।


এসো মেঘ। এসো এ পারের!
এসে দেখ একবার---
তোমার পৃথিবী!


শুধু তো তোমার আছে অভিমান!
ক্ষ নিক বৃষ্টি দিয়ে শুধু যাও চলে!
বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে,
সদা অপারগ তুমি; মেঘ।


ও পারের মেঘ আহা!
ধবল গিরির চূড়ায়
গোলাপী গোলাপ--
মৃদু কালো দুই ভ্রমর --
আদর করে গালে! চুমে।


এসে দেখ এ পারের মেঘ!
গলে যায় জমে থাকা ক্লেদ,
মোম ঊষ্ণতায়।
যেন কনক চূড় ধানের খই--
ফোঁটা ফোঁটা নলেন গুড়ের গন্ধে,
মিশে যায়; মাখামাখি আহা!


জেগে ওঠে জমে থাকা ক্ষোভ;
আদিমতম আদিমতা!
পর পার বহু দূরে মনে হয়---
মিলনের লালসা যবে ঘনায় আকাশে;
বার্ধক্য তুড়ি মারে; মরে।
জন্ম নেয় এক; সদ্য তরুন!
সব কিছু ভালো লাগে নারীর আবেশে।


আহা মেঘ!
তোমার উপর  ভেসে--
জেগে ওঠে বারবার, বারবার---
খসে পড়ে লাজ।
অতৃপ্ত কুয়াশা শিশির;
নিমেষে ই উবে যায়--
হারিয়ে হারায় স্বাগতিক,
অলকানন্দা পথে।


ও পারের মেঘ!
চেয়ে আছে পথে বসে;
ধৌলি, পিন্দর, নন্দাকিনী;
বিষ্ণু, কর্ণ, নন্দ,
মন্দাকিনী;
কিম্বা  সে রুদ্র!
সকলে শান্ত হবে মেঘের ছোঁওয়ায়।


সভ্যতা ঘেরা যত অশালীন,
সুপুষ্প গৃহ  সবে করেছে মলিন!
গন্ধে মাতোয়ারা; মাতে!
অসভ্য রাতে বা প্রভাতে!
ক্ষণিকের উন্মাদ উন্মত্ততা-
নৃত্য অহরহ শিরায় রুধির।


প্রতীক্ষায় প্রহর গোনে;
সাবিত্রীর দল জাগে রাত; আনমনে।
কোনো এক পথে সাবিত্রী ও মেঘ হয়,
লক্ষ্মীর আসন কাঁপে-
মেঘ হয়ে পথে; কারো মনে বৃষ্টি হয়ে পড়ে ঝরে।


চোখের পাতায়!
অবশেষে রাত শেষে!
এপার ওপার মেশে;
দ্বিধাহীন অবলীলায়।


বুদ্ধিহীন সুন্দরী নারী
বোধ জাগে মনে!
সে হাসে, মেঘ হাসে, প্রকৃতির সাথে।


পুরুষ ভাবে নারী উদাসীন!
আড়ালের খেলা চলে যেন।