য়া দেবী সর্বভূতেষু---------------------
সর্বভূতে থাকিস যদি তুই?
আমার দেহে ও আছিস না-কি মা?
খাবার দাবার কিছু ই জোটে না।
আমার দেহে থাকিস না কো; যা।


য়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃ রূপেণ------------
সবার যদি হতে পারিস মা,
আমার তবে খালি কেন গা?
কার ও জামার পরে জামা
আমার বেলায় শুধুই কেবল না?
মাগো, বিচার দু রকম;
বুঝিনা রকম সকম।
তুই, সবার প্রণাম নিস-
এ বছর এই অভাগা কে একটু আশিস দিস।
আসছে বছর যেন একটা জামা পাই,
তোর চরণে এই অভাগিয়া; প্রণাম জানাই।


য়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃ রুপেণ সংস্থিথা----------
বিশ্ব প্রাণের ধারা, সকল জীবে বিরাজীতা তুই,
দৈত্য নাশক তুই - বিঘ্ন নাশক তুই -
পাপ নাশক শত্রু নাশক রোগ নাশক ও তুই।
বল দেখি তবে? বাবা কেন রোগে ভোগে?
ঘুম নেই মা-র চোখে, কাশে আর রাত জাগে।
তোর নেত্র আগুন বরণ, নয়নে ভালোবাসা
নেত্র দিয়েই দেখিস মোদের কিছু ই কি নেই আশা?
একবার , নয়ন মেলে চা।
দেখ্ না আ দুল গা।
তুই সর্বশক্তি সমন্বিতা, সর্বব্যাপিনী
ভুলে গেলি কি মা? আমার কুঁড়েঘরখানি?
বৃষ্টিতে জল পড়ে, আকাশ দেখি রাতে
দেখে ও দেখিস না, ভাত জোটে না পাতে?
তুই চামুণ্ডা , অম্বিকা উমা-
জগদ্ধাত্রী কৌমারী ক্ষমা
তুই কাত্যায়নী-
তুই ব্রম্ভানী শঙ্খিনী-
হাজার নামে বিরাজীতা তুই-
তুই শিবা , তুই তো মা গৌরী।
তবু ও কেন মা? আমরা পুড়ে মরি?


য়া দেবী সর্বভূতেষু শক্তি রূপেণ সংস্থিতা
নমস্তসৈ নমস্তসৈ-----------------------------
তুই , রূপের অধীশ্বরী-
তবু আমরা জ্বলে মরি।
তুই, ক্ষুধা বুদ্ধি ছায়া-
বৃত্তি লক্ষী দয়া-
শক্তি তৃষ্ণা ক্ষান্তি
লজ্জা শ্রদ্ধা কান্তি-
বৃত্তি স্মৃতি ভ্রান্তি
তুইই বিশ্বে ব্যাপ্তি।
সর্ব রূপে ছড়িয়ে আছিস মা।
তাই বুঝি বাপ ভোগে?
মা ও পড়েছে রোগে।
নেইকো খাবার দাবার-
আ দুল গা যে বাবার।
ইসকুল দূর ছাই
কাক ভোরে কাজে যাই।
জানি মাগো! দোষ কিছু তোর না।
পারলে করিস মাপ
দিস না কোনো শাঁপ।
প্রতি বছর আসিস
সকলকে ভালোবাসিস।
দোষ কিছু তোর না---
আমার থাক মা আ দুল গা।