১।
কে তুমি কুকিলা!
কী গান গেয়েছো-
কী মায়া তোমার সুরে,
আমি
সইতে পারি না
এই কলতান
মন বলে আসি উড়ে।


২।
ওই কৃষ্ণচূড়ার
ডাল থেকে যেন
কী সুর এসেছে কানে।
চিরচেনা কুহুতানে।


৩।
বাগানে আমার বসন্ত,
আছে ফুলেদের সমাহার।
তুমি এক-দু’টি নয়,
যত ফুল চাও
তুলে নিও বারবার।


তুমি যদি হও
ফুলহীন টব
নিয়ে এসো কালো চুল,
আমি বেঁধে দিবো তাতে
নানা রঙ্গের
শত টবহীন ফুল।


৪।
কাব্যরাণী কি কবিতার রাণী
না তুমি ভিন্ন কিছু?
অঞ্জলী ভরে দিবে কি কাব্য
যদি আসি পিছু পিছু?


৫।
ওগো রাজার মহারাণী;
বলার ছিল কয়টি কথা
সময় হবে একটুখানি?


আমি কবিতা নই
তবু চাই তব প্রজা হতে
ওগো রাণী,
দয়া হবে কিছুখানি?


৬।
কাব্যরাণী কি ফাগুনের শিমুল?
ফুলের পাপড়ির মতো
রক্তিম কোমল কোনো উড়না?
গায়ে জরানো যায়,
বাতাসে ছড়ানো যায়
এমন কিছু?


যদি তাই হয় কাব্যরাণী
আমি ছাড়তে চাই না,
হারাতে চাই না;
সকল ঋতুর সন্ধা-সকালে
আমি খুব কাছে থেকে
পেতে চাই তোমার
রক্তিম কোমলতা।


৭।
তুমি যদি হও কাব্যের রাণী
আমি কবিতার রাজা;
তুমি-আমি চিরচেনা।


নাম নেই মোর,
ঠিকানাও নেই
আমি এক মুসাফির;
সকালে-বিকালে
সবকালে পাবে
পথে পথে পৃথিবীর।


একা নই তবে
একা রই সব
মানুষের ভিরে
হারিয়ে হারিয়ে
ফিরি বারবার
একাকিত্বের কাছে।
একা নই আমি;
অনেকেই মোর আছে।


৮।
হারাবে না কভু
হৃদয়ে আমার রবে
তুমি চিরদিন।

তোমার বিরহে
তারাদের বুকে
ব্যাথা হবে চিনচিন।


তুমি নিভবে না;
তোমার প্রদীপ
রাখবো জ্বালিয়ে আমি।


শত ঝড়-বান
মুকাবেলে আমি
রব চিরসংগ্রামী।


দিগন্তরাজ
হারায়ে তোমারে
খুঁজবে আমার ছায়;

পাবে না তোমায়-
তুমি রবে মোর
কবিতার সীমানায়!


৯।
তুমি যদি আমার হতে,
হাটতে যদি আমার পথে,
হয়তো হতাম সুখী।
জীবন হতো বিপুল সুখের;
থাকতো না আর দুখ-ই।