১।
আমি
চাই নি শুকতে
শ্যাম্পুর ঘ্রাণ
চেয়েছি চুলের গন্ধ,
আমি তোমার প্রেমের অন্ধ।


তোমার ঘামের গন্ধ আমার
ভালোবাসার খুশবু গো
চাই নি পারফিউম,
তোমার মুখের গন্ধে আমার
আসবে চোখে ঘুম।
লাগবে না টুথপেস্ট।


২।
আমি রাগ করি না,
একটি বিরহের গ্রীনহাউজ এফেক্টে
হৃদয় পৃথিবীটা উষ্ণ হয়ে আছে,
রাগ করলে গ্লোবাল ওয়ারমিং বেড়ে গিয়ে
বন্যায় গাল দু'টু ভেসে যায় যদি সে ভয়ে....


৩।
ও আমার
পরাণ পাখি,
তোমার বুকে
মাথা রাখি
বলবো কথা।


আমার গায়ে
মাখিয়ে দেবে
তোমার বুকের
সব মমতা।


ও আমার
প্রেমের সাকি গো,
পিলাবে
প্রেমের সরাব
তোমার হৃদয়-পাত্র হতে
নিজের হাতে ঢালি,


আমার চোখের
দৃষ্টি রবে
তোমার মুখে,
আওলা চুলের অন্ধকারে
চাঁদ যেন একফালি।


৪।
অভিমানী কাব্যরাণী
মায়বিনী ওই,
তোর বিরহের অশ্রু আমি
কোন সাগরে থুই।


লক্ষ্মী আমার, ভাঙ্গ অভিমান!
তোর বিরহে যায় বলে প্রাণ,

দেখ চেয়ে এই হৃদয়-মাঝে
বিধছে ব্যথার সুঁই।


‘আপনি-তুমি’ বলবো না আর
বলছি এ বুক ছুঁই,
আজ থেকে সব সম্বোধনে
তুই শুধু তুই-তুই।


৫।
আমার ‘থাকায়’ যুক্ত যদি
তোমার ভালোলাগা,
আজ তাহলে তোমার তরে
হবে রাত্রিজাগা।


অত বেশি জাগবো না রাত,
যখন বলো তুমি-
নেট-বাতি সব অফ করে গো
জলদি যাবো ঘুমি।


৬।
পাগলী আমার কখন তুমি
আসবে আবার লাইনে
প্রায় সময়ই মেসেঞ্জারে
এসে তোমায় পাই নে।


এমন যদি হতে থাকে,
আনতে তোমায় লাইনে
তোমার নামে করবো নালিশ
থানার হাতে আইনে।


৭।
কাব্যরাণী ডাকলে আমায় কাব্যরা দেয় সাড়া,
জলদি নতুন কাব্য হতে শব্দরা দেয় তাড়া।
ছন্দ আসে নতুন বেশে,
অন্তমিলও হেসে হেসে,
আমার মনের খুব গহীনে ভাবনারা দেয় নাড়া।
তখন আমার রয় না উপায় কাব্য লিখা ছাড়া।


৮।
কাব্যরাণী আমায় যখন
‘সাঈদ’ বলে ডাকে,
কাব্যরাণীর ডাকে মধুর
ছন্দ মিশে থাকে।


জিহ্বাতে কেউ বুঝবে এ স্বাদ?
বুঝতে তো মন লাগে,
যে মন আছে সিক্ত হয়ে
তারই অনুরাগে।


৯।
তুমি না আসিলে
আমার ছন্দ
কবিতাহীন,


তুমি না আসিলে
আমার কবিতা
ভাবনাহীন,


তুমি না আসিলে
আমার ভাবনা
বাক্যহীন,


তুমি না আসিলে
আমার বাক্য
অর্থহীন।


তুমি না আসিলে
আমার বক্ষ
হৃদয়হীন।


১০।
কবি আজীবন নিরব রহিবে,
মনের দুঃখ কা’রে না কহিবে,
একা একা সব বিরহ সহিবে,
এটাতেই তার সুখ।


হারানো হৃদয়ের
স্মৃতি হয়ে যেটুকু প্রেম ছিল
এ পাঁজরে
তুমি তাই পেয়েছিলে
পাওনি হৃদয়
ভাবের উদয় সেখানেই হতো
এখন এখানে ভাব তো আছে
কবিতাও আছে
কারো তরে আর জায়গা যে নেই...!


ঝরানো অশ্রুর স্মৃতিচিহ্ন
যেটুকু আদ্রতা
তুমি দেখেছো আঁখিদ্বয়ে
সেটুকুই আমার পথের আলো
আমি কাঁদতে পারবো না।
সুখে থেকো মায়াবিনী,
অভিমানী,
কাব্যরাণী,
আমি আসি।


১১।
তুমি যার ছিলে রও তারই
তুমি মোর সনে লও আড়ি
আমি একাই থাকতে পারি
আমি সব কিছু আজ ছাড়ি
আমি একাই থাকতে পারি
আর চাহি না তো কোনো নারী
পরুক আমার জন্য শাড়ি
আমি একাই থাকতে পারি।
আড়ি! তোমার সঙ্গে আড়ি!!


১২।
জীবন-বইয়ের রঙ্গীন অধ্যায়ে
-ঠিক যেখান থেকে লাল-নীল রংয়ের পাঠ্য শুরু-
পড়ছি এক ‘মায়াবী কবিতা’।
কবিতাটা এতো দীর্ঘ নয়
তবু কেন যেন
পড়ে শেষ করতে পারছি না।
পড়তে পড়তে যখন মনে হয়
শেষ লাইনে চলে এসেছি
তখন অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি
আমি এখনো
প্রথম কিংবা দ্বিতীয় পঙতিতেই...!


১৩।
হৃদয়ে কী ভাসে মোর?
তা কি কোনো কবিতা?
না কি কোনো শিল্পীর
হাতে আঁকা ছবি তা?
না কি ওই আকাশের
জ্বলজ্বলে রবি তা?
নাকি মহাবিশ্বের
চাঁদ-তারা সবি তা?
ও মিতা!


১৪।
অল্পদিনেই মায়ায় ভুলানো
হে মোর কবিতা সোনাপাখি!
নিত্য প্রেমের রংতুলি দিয়ে
হৃদয়ে তোমার ছবি আঁকি।


১৫।
কবির তরে কবিতা এবং
বিরহের তরে গান,
দুইয়ে দুইয়ে এই চির বন্ধন
না হোক কখনো ম্লান!


১৬।
ম্যাসেঞ্জারে,
আসলে আমি হারাও তুমি
আসলে তুমি আমি,
এমন করে আর কতকাল
কাটবে দিবস-যামী!
ইস! আহারে!!


১৭।
জানো কবিতা,
মাঝে মাঝে তোমাকে নিয়ে
কতকিছু ভাবি, কতকোথাও যাই।
না! ভাবি না তোমাকে পাবার কথা,
তোমার হৃদয় গহীনে যাবার কথা;
যদি অন্য কেউ তোমাকে চেয়ে থাকে
অন্য কেউ হৃদয়ে গিয়ে থাকে!


১৮।
কভু কবিতারা যদি বিদ্রোহ করে
আসবে না এ হৃদয়ে
তুমি কি তখন সঙ্গ দেবে?


১৯।
এসো আজ জ্যোৎস্নার আলোমাখা রাতে,
উত্তর-পুকুরের জলে ভেসে ভেসে,
নিচুস্বরে কথা বলি, প্রণয়ের কথা!



২০।
"এই মেঘলা দিনে একলা
ঘরে থাকেনা-তো মন,
কাছে যাবো কবে পাবো
প্রিও তোমার চায়ের নিমন্ত্রণ?"


মেঘলা-রোদেলা সকল দিনে
রইল আমার চায়ের নিমন্ত্রণ,
পথপানে চেয়ে তব প্রতিক্ষায় রহিব সারাক্ষণ।


২১।
কোথায় পাবো আগুন আমি
কোথায় পাব খড়ি,
তুমি হইও প্রেমের চিতা
তোমায় পুড়ে মরি!


২২।
আমার বুকে হৃদয় ছিলো
হারিয়ে গেছে পাচ্ছি না আজ,
আমার চোখে অশ্রু ছিলো
শুঁকিয়ে গেছে, কাঁদছি না আজ।


আমার বুকের হৃদয়খানি
আমার চোখের তপ্ত পানি
তুমি কি আমায় খুঁজে দিবে?


২৩।
কোন তালে যে গাইবো তোমায়
আবৃত্তি কোন ছন্দে,
ও কবিতা তোমায় নিয়ে
ভুগছি দ্বিধাদ্বন্ধে।


২৪।
আপনার সঙ্গে কথা বলার পর থেকে কি যেন এক ভাবের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি। আচ্ছা, আপনি কোন কবিতা? অভীক রায়ের ‘শুরুর কবিতা’ নাকি রবিন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ নাকি ‘শেষের কবিতারও পরের কবিতা’ আপনি?
আচ্ছা, আপনি কোন ছন্দে রচিত? স্বর, মাত্রা ও অক্ষরের কোন ছন্দে রচিত আপনি?


রবিন্দ্রনাথের শেষের কবিতা যতবারই শুনি প্রতিবারই দুঃখ-সুখের তরঙ্গদোলায় দোল খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়ি। তাই শেষের কবিতার শেষ পর্যন্ত কমই শোনা হয়। তবে আপনাকে পড়ে আমি কখনোই শেষ পর্যন্ত যেতে চাই না। শেষের একটু পূর্বে এসেই আবার শুরুতে চলে যেতে চাই।


২৫।
কি কবিতা লিখবো তোমায়
কবিতা তো নিজেই তুমি,
তোমায় নিয়ে লিখতে বসি-
শব্দরা সব যায় পালিয়ে
কলমটাও লুকায় ঘুমি’।


তোমার প্রতি
কলমখানির
ভালোবাসা
ঢের আছে।


তোমায় তো সে
খুব করে চায়
খুব কাছে।


শব্দরা তো
তোমার প্রেমে
মরতে গিয়েও
তোমার তরেই
ফের বাঁচে।


টের আছে?


তোমার প্রেমের প্রভাব তাদের
অস্থি এবং মজ্জাতে,
ভালোবাসায় সামনে এলেও
যায় পিছিয়ে লজ্জতে।


২৬।
যেই ভাব খুঁজে পাই কবিতার কবিতায়,
সেটাকেই লিখে দিই কবিতায় কবিতায়।


২৭।
ওহে কবিতার পাগলীনি, ওহে কবিতা,
কবি হৃদয়ের নীল নভেঃ তুমি সবিতা।