এই বুকে আর নেই যে কবিতা,
কবিতাতে বলো কী হয়?
তোমাকে দেওয়ার কিছু নেই মোর
শুধু আছে এই হৃদয়!
জানি, এ হৃদয় চাইবে না তুমি
ভাঙা কিছু কেহ চায়?
কিন্তু আমার এটা ছাড়া আর
নেই কিছু হায় হায়!!
একটা কবিতা আছে যদিও বা
সে কবিতা এই ‘তুমি’
তোমাকেই ফের তুমি কবিতাকে
দিতে তো পারি না আমি।
২।
কাব্যরানীকে কী কবিতা দেবো
সে তো কবিতার রানী।
শব্দরা তার চাকর-নকর
অভিধান রাজধানী!
ছন্দরা তার রাতের সেবিকা
ব্যাকরণ সেনাদল,
ভাবে’রা তো তার কলমের মুখে
সদা করে কোলাহল।
৩।
কাব্যরানী লো,
তোর দু’চোখের কাজলেরা ভগবতী
ভগবতী তোর সোনার নোলক-দুল,
দন্ত শুভ্র বরফের চেয়ে অতি
ঠোঁট দু’টি যেন সবে ফোটা কোনো ফুল
তোর নেই কোনো তুল।
ওগো মোর কাশফুল।
আমার কাব্যরানী,
তোকে ডেকে ডেকে মিটাই আমার
হৃদয়ের সব গ্লানী।
লো...
কবিতার পাগলীনি!
৪।
কবিতার কাছে কবিতা চেয়েছি
বলে তুমি নিজে কবি,
আমিই তোমার কবিতা যে তাই
একেঁ নিও মোর ছবি।
৫।
কবিতা তোমার ছন্দের তালে
আমি কবি বেসামাল,
কবিতারা মোরে শাসন করিছে
চোখ করে লালে লাল।
তুমি তাহাদেরে বলে দিও- ‘আমি
শুধু তুমি কবিতার’
যেন মোরে আর না করে শাসন
রূপ নিয়ে সবিতার।
৬।
শরতের কোনো সন্ধায়
ক’টি তাজা কাশফুল তুলে নিয়ে এসে
যদি আমাকে তুমি খুঁজে না পাও
তবে পথের ধারের পড়ে থাকা
ঐ ফুলহীন ফুলদানিটি সোজা করে
তাতে রেখে যেও, সেটাই আমি।
৭।
আমি লিখতে পারি না তুমি যে কবিতা
তাই আমি এক কবি;
আমি আঁকতে জানি না তুমি যে প্রেমিকা
তাই আঁকি তব ছবি
৮।
ওগো
কাব্যের মহারানী;
শরতের কাশফুল!
আমি
ফুলহীন ফুলদানি
রেখে যেও দু’টি ফুল।
৯।
লক্ষ্মী আমার তোমায় ভালোবাসি
ঘুমের আগে চাই প্রতিদিন
আরও একটি ভোর
কোমল আলোয় দেখতে আবার
তোমার মুখের হাসি
ওগো মোর সোহাগীনি
তোমার প্রেমের বৃষ্টি এ হৃদে
সদা ঝরে রিনিঝিনি
দিনে দিনে তুমি কতটা গহীনে
আরে ও পাগলীনি
এ হৃদে ঘেড়েছো স্থান
মাধবীনি লো!
কী যাদু করেছো বলো!
১০।
তুমি আছো মোর হৃদয়ের মাঝে
তুমি এদেহের প্রতি ভাজে ভাজে
তুমি আছো মোর দো’আতে নামাজে
তুমি ছাড়া আমি কিছু ভাবি না যে!
কী হলো কাব্যরাণী?
কতক্ষণ ধরে দাঁড়ায়ে ছিলাম তুমি কেনো আসনি?
১১।
তুমি শুধু মোরে অবহেলা করো
ঘেষো না আমার কাছে,
তুমি তো জান না কত ব্যথা মোর
অন্তরে জমা আছে।