কবিতারা নালিশ করছে
শব্দরাজ অভিধানের কাছে-
অসম মাত্রার ছন্দহীন,
"শরতের কাশফুল" পরিচয়ের একটি মেয়ে
নিজেকে ‘কবিতা’ বলে দাবি করেছে
আর কবি সাঈদ তাকে নিয়েই
ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।


মজলিসের এককোণে
বসে বসে আমি
তখনো তোমার কথাই ভাবছিলাম।


কবিতারা আরো কিছু বলতে যাবে-
ঠিক তখন তাদের থামিয়ে দিয়ে
আমি বললাম-
শোনো, তোমাদের মাত্রা গণনা হয়
অক্ষরজ্ঞান দিয়ে।
কিন্তু আমার কবিতা
এসব অক্ষর-চক্ষরের উর্ধ্বে।
আমার কবিতার মাত্রা বুঝতে
লাগে অন্তরজ্ঞান।’


আমি আর কিছু বললাম না।
শব্দরাজ কবিতাদের লক্ষ করে বললেন-
বের হও মুর্খের দল
আমার মজলিশ থেকে।


আমিও বেরিয়ে আসলাম।
খুশির এ খবরটা
তোমাকে জনাবো বলে
ম্যাসেঞ্জারে এসে দেখি,
তুমি নাক ফুঁলিয়ে বুক দোলিয়ে
চিত হয়ে শোয়ে
ঘুমুচ্ছো আর ঘুমুচ্ছো।
বলো তো কেমনটা লাগে তখন!?