প্রচন্ড আঁধারেতে-
চন্দ্রাবতী বেড়াতে আসে-রাত বিরাতে।
নিয়ে আসা তার চাঁদ গলানো জোছনা-
কই ঘর আমার তো আলোকিত করে না?
হায়-
আর সেই আলোতে
যাচ্ছে ভেসে গোটা নগর;
তাই চন্দ্রাবতী আমার পর।


চারুলতা তুমি হীনা-জোৎস্না শহর
আমি চাই না!


প্রচন্ড দহনে-
মেঘবতী বেড়াতে আসে-বষর্ণের গানে।
তার মেঘ ভুলিয়ে নিয়ে আসা আকাশ-জল
কই ফোঁটায় না তো মন দিঘীতে কোন কমল?
হায়-
আর সে জলের ছোঁয়া ফুলে ছেঁয়ে দেয়
গোটা নগর;
তাই মেঘবতী আমার পর।


চারুলতা তোমায় হীনা-পুষ্প নগর
আমি চাইনা।


প্রচন্ড অসুখে-
মায়াবতী বেড়াতে আসে- স্মিত মুখে।
তার প্রেম মিশিয়ে নিয়ে আসা ঠোঁটের
আদর
কই ভাঙছে না জমতে থাকা বুকের পাথর!
হায়-
আর সে আদরেই উঠছে জেগে মৃত নগর;
তাই মায়াবতী আমার পর।


চারুলতা তোমায় বিনা- প্রেম
নগরী আমি চাই না!


চারুলতা,
আমি শুধু সেই নগরী চাই
যে নগরীর সকল মুখ
ঘুরে ফিরে চারুলতা হয়ে যায়!


'কাসু