ফটফটে সাদা রাস্তায়
উদভ্রান্ত চলেছি,
একা ।
চন্দ্রালোকিত রাতে ।


দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য
উদ্বাহু, উলঙ্গ,
বিবেকের খানাখন্দ পেরিয়ে
ক্ষতবিক্ষত শরীর;
চোখের সামনে বিকৃত চোখহীন
ছায়াশব -
নিজেরই ছায়ার ভারে অন্তরীণ,
শয়ে শয়ে লোক শুধু
পৃথিবীর ধর্ষণে ব্যস্ত
অবিরাম ।
আড়চোখে দেখে নেয়
কাপুরুষ !
হেসে নিই খুব একচোট -
তারপর ঢালু পথ বেয়ে,
এল-ডোরাডোর খোজে আবার
অগ্রসর যান্ত্রিক ভাবলেশহীন ।
রক্তস্নাত শকুনিরা
মাথার ওপর চক্রাকারে;
ক্লেদাক্ত পিচ্ছিল পথ
গোল হয়ে ঘুরে আসে,
নিষ্ক্রিয় ক্রন্দসী
সীমাহীন অপমানে ভাঁজ হয়ে যায় ।


ফটফটে সাদা রাস্তায়
চলেছি অনেকে,
একসাথে ।
চন্দ্রাহত রাতে ।


ঝাউগাছ, ঝিনুকের পাশাপাশি
ছুটছি হাওয়ায় অনির্দেশ;
চেতনার উচ্ছ্বাস
ঢেউ হয়ে
গুঁড়োগুঁড়ো বাঁধভেঙে অজস্র জোনাকি,
ম্যমীর মুখোশ খুলে
শ্মশানের বুক চিরে লঘুপায়ে
জীবনোন্মুখ -
মানুষ !
অন্তর্প্রেমে, আন্তর্প্রেমে দুঃসাহসী ।
অনেকটা স্বাধীনতার মতো ।
কাপুরুষ !
সে তো পূর্বজন্মের কথা -
আজ প্রতিবাদের দিন,
হোক না সে প্রতিবাদ স্বপ্নজ,
মনগড়া হোক, তবু একবার দাঁতে দাঁত চিপে,
আদিগন্ত প্রেতস্বরে আপামর বলে ওঠে:
ধর্ষক ! শালা অনেক সয়েছি, আর নয় !
তারপর আসে মেঘ, নামে বৃষ্টি,
প্রকৃতি মানুষ প্রেত একাকার;
ক্রমাগত মিলে মিশে অনিবার ঘুরপাক -