জানি আর কিছুই আমার থাকবে না
হিংস্রের বীভৎস গ্রাসের শিকার হয়ে
আহত হবো নিয়ত।
হারাতে থাকবো স্বপ্নগুচ্ছ,
আবার কখনো হয়তো
এক একটি নিঃশ্বাসের ভারকেও
বোঝা মনে হবে তখন।
কবিতার অক্ষর গুলো আমার থেকে
অনেক দূরে সরে যাবে,
ছন্দেরাও নেবে বিদায়।
রক্তিম সূর্যের দৃপ্ত উত্তাপ
তখনকার নষ্ট পৃথিবীতে
আর আমার জন্য নয়,
পোড়া বারুদের গন্ধে চাপা পড়বে
আমার রক্তের ঘ্রাণ।
আমিও অভিমানে নয় অবহেলায়
এঁকে দেব যবনিকার রেখা।
সেদিন কিছুই আর আমার নয়।
প্রেমিকার রক্তিম ঠোঁট
বীভৎস ভাবে লেহ্য হবে নষ্ট জিভে ।
স্ট্রীটে স্ট্রীটে গড়াগড়ি করবে
শ্রমিকের বৃথা ঘাম; শবাধারে
আবাস গড়বে স্বপ্নবান।
হাজার হাজার চে’
শুধু নিথর চেয়ে রবে টিশার্টে
শোভিত প্রতিকৃতি হয়ে
হাস্যোজ্জল পাইপ হাতে তবু
ছবির মতই নির্বিকার।
পুঁজিপতির পূঁজির উর্বর বস্তু হয়ে।
জানি সেদিন আমিও হবো সর্বহারা।
রবি ঠাকুরেরা সেদিন চিরন্তন নয়
পুড়নো সেকেলে ওজুহাতে
বন্দী হবে বইয়ের অক্ষরে।
নষ্ট সুরের নারকীয় উল্লাস
পরিচিতি পাবে গান হয়ে।  
তথাকথিত আধুনিকতায়
ম্লান হবে সংস্কৃতি, বিজয়ের উল্লাসে
নষ্টদের পতাকা উড়বে,
নিথর পড়ে রবে মুক্তি।
আমিও জানি,
সেদিন আর কিছুই আমার রবে না।