এখন বড় দুঃসময় হায়!
বড় বেশী দুঃসময় যায়।
নর্তকীর ঘুঙ্গুরের মত কষ্ট বাজে
নষ্ট বুকের কষ্টের পাঁজরে।


এখন আমি কার কাছে যাব!
কে আমায় টেনে নিবে বুকে,
এভাবে কতকাল,আর কতকাল
বাঁচব ধুকে ধুকে।


আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব
মাছি!
হা- হা- হা -হা -হা
সবাই এখন দুধের মাছি।


কষ্ট রঙের নীল নীলা
যাকে আমার আত্মা ভেবেছি,
তার কাছে কিছুই নেই,
সে এখন রিক্ত।


ভালবাসা! ভালবাসা!
বড্ড হাসি পায়
ওটা এখন আমার কাছে
পঁচা বাসি পান্তা ভাতের মত,
যা উদরে কিছটা ক্ষুধা মেটায়।


ভূল করে একদিন ক্ষুধার্ত ভিক্ষুকের
ঝুঁড়িতে রাখি নিষিদ্ধ গোলাপ,
অবাক! সব রস ঘ্রাণ চুষে নিয়েছে
ক্ষুধার্ত অকৃতজ্ঞ ঘুণ পোকায়।


আমি আজও খুঁজে ফিরি
কষ্টের সেই নীল পাণ্ডুলিপি।
যেটা মাঝরাতে আমাকে কুরে কুরে খায়,
যেমনটা কাঁচা বাশ ঘুন পোকায়....


হঠাৎ চমকে উঠি
এ কি! হায় ঈশ্বর!
সেই স্মৃতির পাণ্ডুলিপিও খেয়ে নিয়েছে
অকৃতজ্ঞ ক্ষুধার্ত উইপোকায়।


এখন বড় দুঃসময়
দুধের মাছি কুহু কুহু ডাকা বসন্তের কোকিল
স্বজনেরা সব আড়ালে লুকোয়।


আমি নারীর বুকে রেখেছি হাত
রেখেছি তৃষ্ণার্ত শুষ্ক ঠোঁট,
হয়নি কোন মধুচন্দ্রিমা
পাইনি মৌচাকে একবিন্দু মধু।
পেয়েছি শুধু অজস্র ঘৃণা আর দুঃখ।
নারী তুমি বড় রহস্যময়ী
রহস্য যেমন সমুদ্রের জলকেলি।


আমি আকাশ কাঁপিয়ে
মেঘ গর্জেন বলেছি - হাতটা বাড়াও।
আমার চিৎকারে বাতাসে আগুন জ্বলে
ঈশ্বরের আরশ থরথর কাঁপে।
আমি কারও হাত পাইনি,
কেউ হাতে হাত রাখেনি।


এখন বড় দুঃসময় যায়
হায়! প্রেম ভালবাসা করুণা,
সরীসৃপের মত নিঃশব্দে
দূর.......বহুদূর....পালায়।




ঢাকা
১৭/০২/২০১৭