বাংলা মাস হলো শ্রাবণ
পাক সেনারা হয়ে এলো রাবণ।
সঙ্গে ছিল রাজাকার,
গ্রামটা করিলো লুটতরাজ
আগুন দিল ঘরে ঘরে,
গ্রামবাসি পালালো ভয়ে ডরে।
লুকাইলো বন বাদারে,
বাহির হইবে রাত্রে অন্ধকারে।
গ্রামটি পুড়ে হইলো ছায়,
দূর থেকে দেখিলো সবাই।
সালটি ছিল ১৯৭১,
ভয়ে ডরে হইলাম কাতর।
এলাকা হইলো জনশূন্য,
স্বাধীন পাইলে হইবে ধন্য।
গ্রামে বৃদ্ধ বৃদ্ধা ছিল যারা,
গাছ তলায় রাত্রি কাটালো তারা।
পেটে ছিলো ক্ষুধা,
উপরে ছিল বিধাতা।
দুই হাত তুলে বিধাতাকে ডাকে,
দিনের বেলা শেয়াল ডাকে।
শেয়াল খায় মরা লাশ।
কেউ পাইলোনা বাঁচার আশা।
সালটি ছিল ১৯৭১,
ভরে ডরে হইলাম কাতর।
কাক শকুনগুলি করে আতর্নাথ,
রাস্তা ঘাটে মরে পরে থাকে পশু-পাখি
আরো কত মানবজাত।
কত লাশ ভেসে যায় নদীর জলে,
দেখে শুনে বুক ভেসে যায় চোখের জলে।
কত লাশ পাইলো না এক টুকরো কাফন,
হইলো না দাফন।
কত লাশ শিয়াল কুকুরের পেটে,
হইলো শরীর সমাধি।
যুদ্ধের খেলা আর কতদিন চলিবে বিধি?
৩০ লক্ষ নিরীহ বাঙ্গালি দিল প্রাণ
ইতিহাসের পাতাই হয়ে থাকিবে অম্লান।