দুঃখের ভার কেবলি বাড়ছে, সময় যেনো বৈধতা দিচ্ছে মৃত্যুর, এ এক মৃত্যু উপত্যকা, পশু ভিন্ন মানুষের কাটে ভারাক্রান্ত সময় এখানে। এখানে উল্লাস চলে রক্তের স্রোতে, বর্ণ তেমন ছড়ায় না আলো। যতটা দেখি মানুষ মতন তাদের দাঁত নখ চোখে- দেখি স্বাপদ জন্তুর চোখ জ্বলে, শাদা দাতের হায়েনা হাসি আর লুকোনো নখে তারা দেয় শান। আমি আজাদের ভিন্ন সময়ের মানুষ, এখনও আমার সময় আসেনি। এখনও রয়েছে প্রাচীন প্রস্তর কাল, যে অবধি মানুষ হয়ে উঠেনি মানুষ, মানুষের মতন। ডোরে মারের কান্না পিকাসো ধরেছিল, আমার কান্না ধরতে এই শহরের ভাগারগুলো ডুবে যাবে আমি ভাবি না। নগরভবনে থাকা মানুষের কাগজে খুনের বদলার বদলে খুন, দাঁতের বদলে দাঁত আর চোখের বদলে চোখ এই নীতি আমায় মানতে বলো না।


আমি চলে যাব নির্বাচিত নির্বাসনে, সেই ভালো, আমার বুকপকেটে থেকে যাবে সুনীল সাইফুল্লাহ’র সবুজ পায়রার একটি দুটি পালক। আত্মহত্যার সংবাদ এখনও এখানে শীর্ষ খবর নয়, খুন বা স্বাভাবিক মৃত্যুর ভিড়ে, নৈশব্দের শব্দ এখানে এখনও অননুদিত কথামালা।


দুঃখের ভার কেবলই বাড়ছে, ক্রমশ রসদ ফুরিয়ে যাচ্ছে জীবনের, এ এক অনিশ্চিত গিরিখাত, হতাশা ভিন্ন মানুষের নেহাতই থাকে প্রত্যাশা এবং আনন্দ সংবাদ। বাকি থাকা জীবনে, ফেলে আসা জীবনের ক্রমাগত উৎপাত বোধ করি। জবাবদিহি করবার জন্য যারা থাকে তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নে আর অতীতের দুঃখের মাঝে বিলীন করে দিয়েও ক্লান্ত বোধ করি। নিঃস নিঃস ভাবের এক স্বচ্ছল দুঃখ মানুষের চোখে মুখে দেখি, আর আমি বিপন্ন বোধ করি এই সময়ে। যেনো রাস্তা-ঘরে-ফুটপাতে-রাজদরবারে-পত্রিকায়-বিলবোর্ডে মানুষের নির্বুদ্ধির বিবমিষা আমারই চোখে লেগে থাকে। ভালো থেকো এই সব পশু-প্রস্তর যুগের মানুষ-নির্বুদ্ধি-ভাগাড় নিয়ে বয়ে চলা সময়। আমি না হয় চলে যাব, হয়ে যাব একটি নৈশব্দের শব্দ আজ।