টিস্যুর ঝুড়িতে জমা রাখা ফার্মগেটের ঘাম।
আমি ঝুলে যাই মিরপুর দশ, এগারো আর বারো-


আরও কিছু দূর সুর করে করে একটা দুটো কাক উড়ে যায় ব্যস্ততার আকাশে। দুঃখ দুঃখ ভাব করে থাকা গলির রাস্তাটা আমি এলেই কেমন পোষা কুকুরটার মত খুশী হয়, এমন লাগে, এমন ভালো লাগে যে জাপটে ধরি, আকড়ে রাখি, মাথায় হাত বুলিয়ে দিই। বিনিময়ে জোটে কংক্রীটের এই অশীতিপর জংগলে বৃদ্ধ প্রেমের আকুতি। আমি জাপটে ধরি, আকড়ে রাখি, মাথায় হাত বুলিয়ে দিই।


এই শহরের নাং আমি, প্রতি রাতে সহস্র সংগমের স্তরে স্তরে জমে ওঠে সংগহীন, সংগীন শীৎকার। অথচ, ক্লান্তিহীন হাতঘড়ি, বহুগামী মুঠোফোন আর অন্তর্জালে জমা বিভৎসতা ক্রমাগত জানিয়ে যাবে- আসছে দিনে যে সূর্যটা ঠিক মাঝ দুপুরে উঠে যাবে, যাতে ঘামে ভিজে যবযবে হয়ে যাবে এই শহরের ভাতঘুম, ফ্যাকাশে লাগবে নতুন আসা মানুষের পাখি মতন মুখ।


এখানে আমার দিন ডুবে যায়, এখানে আমার রাত ফুরোয়, ঝোক ফুরোয় না। আমি ঠিক প্রতিদিন, প্রতিদিন ঠিক এই নগরে পরিভ্রমণ করি, ইবনে বতুতাকে আমি থোরাই কেয়ার করি। আর প্রতিদিন জমা রাখি টিস্যু পেপার। কখনও মুছে ফেলি, মিরপুরের বিগত তিনটি মাস, কখনও বা জীবনের বিগত ছাব্বিশ টি বছর।


এইসব
ভাবতে ভাবতে মানুষের বাজারে, চাইলেই কি পাওয়া যায় তোমারে।
আমি ঝুলে যাই মিরপুর দশ, এগারো আর বারো-