মনের আকুতি মায়ের ভাষায় লিখে
দেয়াল লিখনে আজ জানাতে পারি
আঁচড় কাটতে পারি প্রাত খবরের পাতায়
জনতার সকাশে সত্য প্রকাশে
সবাইকে জানাতে পারি মুক্ত ধারায়
মনের কথাগুলি মুখে বলতে পারি
মন খুলে হাসতে পারি, কাঁদতে পারি
বুকভরা শ্বাস নিতে পারি
খোলা আকাশের নিচে
মন খুলে গাইতে পারি
একতারায় সুরে, সুর মিলিয়ে
পারি নিজেকে সাজাতে,
সাজাতে পারি মাকে আমার
বর্ণগুলো রক্তে ভেজা উজানে আসা
পদ্মা, মেঘনা, যমুনার স্রোত ধারায়
বাহান্নে জন্ম নিয়ে, একাত্তরে উঠে এসেছে পতাকায়
পৃথিবীর সবাই শ্রদ্ধা করে এখন
আমার মায়ের ভাষা শোভে এখন সবার কণ্ঠে
তাজ সম শোভা সবার শিরে, পৃথিবী জুড়ে
তাইতো মৌন বদনে, নগ্ন পদভারে
২১শের ফেব্রুয়ারি প্রাত বেলায়
রক্ত জবা, গোলাপ, শিমুলের অর্ঘ ঢালি
মায়ের পদতলে অবনত শিড়ে
অগ্রে ছিল প্রয়াত পিতা,
দিশারীর মোদের দিক নির্দেশনায়
পনেরো কোটি পুত্র কন্যা চলে বুক উঁচু করে
লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে
সৃষ্টির শিয়রে পাপিষ্ট ইবলিশ
কারুন, ফেরাউন সদা উদ্ধত নখরে দাঁড়িয়ে
সাবধান, জাগ্রত জনতা, সজাগ থাক প্রহরীর মত
বিষ দাঁত উপড়ে ফেলো, সবাই মিলে আজ
ছড়িয়ে, ছিটিয়ে আছে যত নরাধম কীট বাংলায়
ছোবল আর হানতে না পারে কোন দিন
ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে ইবলিশেরা
বিভ্রান্ত করতে না পারে আগামী প্রজন্মকে
চিহ্নিত কর তাদের, নির্বাসন দাও
সমাজ কলুষ মুক্ত করো
মুক্ত বাতাস বহুক
বাংলার পথে প্রান্তরে ।।