অনেক বাড়ী অনেক গাড়ী
সাম্পান ছিল ভুরি ভুরি
প্রমোদ বিহার করছো তুমি
তোমার  রাজত্বে ।
রংমহল সাজাইয়া তুমি
বিলাস যাপন, সাধের ভোজন
করছো এই ধরাতে।
ভাবো নাইতো তখন তুমি
এত জিরাত এত জমিন
থাকবে না সঙ্গেতে
থাকবে না সঙ্গেতে ।
সব কিছু ফেলিয়া তুমি
সারে তিন হাত ঘরের মালিক
দরজা বিহীন থাকবা একা
নাই সেখানে আলোর দেখা
থাকবা একাকী ।
যত ছিল পাইক পেয়াদা
হুকুম তামিল করত তারা
চল্লিশ কদম পা ফেলিয়া
সংযোগ ছেড়ে গেছে চলিয়া।
তখন তুমি কাইন্দা কাইন্দা
হইবা জারে জাড়
হাজার ডাকে তোমার ভাষা
বুঝবে নাকো
জীবন থাকা মানুষগুলো আর ।
ওপাড়েতে দু গোত্রের
দুইজন মালিক
থাকবে তারা দাঁড়িয়ে
খেদমতে তোমার
তুমি যাহার যাইবা সেইখানে।
একটা বাড়ী অনেক চমৎকার
সেখানে আনন্দের বাহার
অন্য বাড়ীর কষ্টের কথা
শুনছো কানে এই ধরাতে
চলছ শুধু হাসির ছলে
এখন নাইতো কিছু এড়িয়ে যাবার।
যে ট্রেনের সওয়ার তুমি
পাটি দুটা সোজা চলে
গতি তাহার সম্মুখ পানে
ফিরবে না আর উল্টো দিকে
পাপের বোঝা পুনঃ শোধরাবার ।
তাই যৌবন থাকতে
জীবনের সাজ
সাজিয়ে নাও
হাসতে হাসতে চলে যাবে
কল্পলোকের বাড়ীতে তোমার ।।