অন্তরে যে নেইতো কাছে
তার কথা সব মুছে ফেলো
আমার পরিচয় স্বার্থ হাসিল
এ কথাটা, আর মানবো নাতো
অনেক সয়ে পৌঁছে গেছি
অনড়, অটল সিদ্ধান্তে
সিদ্ধান্ত আর বদলাবে না ।


মুখোশ দিয়ে যায় না ঢাকা
আসল রূপের প্রকাশখানা
সব মুহূর্তে ভাবতাম আমি
এই তো, বোধোদয় হোল বুঝি
দিন যত যায়, শিকার তাহার
নতুন ভাবে হিংস্র থাবায় ।


নখের আঘাত যায় যে দেখা
ঔষধ প্রলেপে, তা হবে হারা।
অন্তরে যার বিষের ভাণ্ডার
বিলায় যত, বাড়ে তত, সেতো অফুরান ।
ভাণ্ডারখানা জন্ম সূত্রে পাওয়া
এটা শুধরাবার নেই তো চিন্তা তার
এটা সংরক্ষণের উত্তরাধিকার ।


যখন তাকাই দেখতে তো পাই
শুধু বিদ্রূপের শুরা সে যে খায়
দিক পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নাই ।
বাঁশের গোঁড়ায় ঝড়ের মাঝে
কঠিন ভাবে শপথ নিয়ে ওঁত পেতেছে
কেমনে মোদের ঘাড় মটকাবে
আমার খাবে, পড়বে আমার
করবে আঘাত তার ইচ্ছে মত
আমরা শুধু সয়ে যাব ।


এত দিনে হাড়ে হাড়ে চিনে গেছি
বিভীষণ ঘরের মাঝে জট পাকাচ্ছে
অন্তরে বিষ পুষে রেখে
প্রলেপ দিয়ে অবয়বে
যায় না ঢাকা কোন মতে ।


এ সব ধন্ধ থেকে মুক্ত হয়ে
মন্দ সংশ্রব ত্যাগ করিয়া
বাকী জীবন পার করিব ।
ছাই ঝেড়ে তো ছাইই পাব
বৃথা চেষ্টা মুক্তি পাওয়ার
তাই তো মনে যতই কষ্ট
হোক না আমার
দূরে থেকে থাকব ভাল
এটাই সে চেয়েছিল ।
অদ্য থেকে মেনে নিলাম
এটা হতে পারে কঠিন সিদ্ধান্ত ।


পরগাছা এক অদ্ভুত উপজীব্য
পান করে সে রক্ত, অন্যের শরীরের
কৃতজ্ঞতা বোধ হবে না
তার কোন কালে ।।