পরগাছা বলি আমি তাকে,
সেতো রক্ত চুষে বাঁচে ।
প্রতিদান, সে জানে নাতো দিতে
পরগাছা বলি আমি তাকে ।
গাছের পরে গাছ দেখেছি,
আজনম সংযোগ নাই তার মাটির সনে,
পরগাছা আমি বলি তাকে।
তেমনি উদরেতে রইলো যতনে
দশ মাস দশ দিন ধরে হইল বড়,
তার পর আসলো ধরাতে ।
ভুলেও সে ভাবে নারে,
আজনম সঞ্চয় করে রাখি তাহার তরে ।
অন্য রাহু পরগাছা জুড়ে বসে ঘাড়ে
সে তো ডাইনি, এসে লন্ড ভণ্ড করে ।
নয় তো কন্যা নয় তো জায়া নয় তো ভগ্নি
নয় তো সুমাতা তাহলে সে কি?
আমি পরগাছা বলি তাকে ।


এসেই বলে এটা আমার ওটা আমার
এটা পুরানো, ওটা সেকেলে
বুড়ো দুটো বাপ মা যদি থাকে এ ঘরে
হাঁটতে চলতে বোঝা ভাবে
মরলেই যেন বাঁচে
আমি তাকেই বলি পরগাছা ।


তাহলে কি হবে? তাকে নিয়ে ঘরে
উপড়ে ফেল পরগাছা, ফেলো ডাস্টবিনে
সেখান থেকে আসতে পারলে উঠে
সোডা সাবান গরম জলে ধৌত কর তারে
মগজটাকে ধৌত করো আরও শক্ত করে
যাতে পশুত্ব ভাব ভুলে যায় সাড়া জনম তরে ।
আপন ভেবে আসুক ঘরে
নইলে থাকুক দূরে ।
দুষ্ট গরুর চেয়ে, শূন্য গোয়াল অনেক ভাল
সব লোকে তাই বলে ।
তারে চাষে নাহি লাগে
গাভী? সেতো দুগ্ধ নাহি দিবে ।
তাইতো বলি মানুষ নয়, পরগাছা সে
তাহার থেকে বাঁচতে হলে বুড়োরা
থেকো অনেক দূরে ।
নইলে ভাববে চাকর
যথা সময় কাজ না করলে
হাড়ি পাতিল যথায় তথায় ছুঁড়বে অবশেষে
বুড়োর অর্থে কেনা জিনিস,
মায়ার ডোরে বাধবে কি করে ।


কাক কি কভু মুয়ুর পুচ্ছ পড়ে
কেমন করে তাদের মত রং ধরাবে মনে,
তাই তো ভেবে চিন্তে পরগাছা আন তুলে ঘরে
যে শালীন ভাবে সামলে নিবে
তাহার দায়িত্বে যাহা কিছু পরে ।।