দুর্বোধ্য সংলাপ
---
পাতার বাঁশিতে সুর তুলেছিল
যে কিশোর, সেই আজ হয়েছে সুশীল,
ভুলে গেছে মাটির ডাক।
তার কথা থাকে কৃত্রিম কাঠিন্যে আচ্ছাদিত,
সহজে যায় না বোঝা।
যে যত জ্ঞানী ততটাই দুর্বোধ্য সে,
সহজেই যদি বোঝা গেল
তবে তোমাতে আমাতে কীসের পার্থক্য হে!
একটা সময়ে খেলা ছিল এমন
মোড়কের ভিতর মোড়ক, আবার মোড়ক,
আবরণ খুলে খুলে অবশেষে দিয়াশলাইর বাক্স।
যত হীন থাকুক না কেন
তাকে কঠিন আবরণে ঢেকে ফেলো,
দশজনার আড়াল হলেই তা বহুমূল্য।
এভাবেই হয়ত পণ্ডিত রেখে-ঢেকে পাণ্ডিত্য বিলায়,
হয়ত সব যুগেই জ্ঞান থাকে
পণ্ডিতের দখলে, বংশানুক্রমিক দখলে।
যা ছিল অতি সাধারণ
তাকেই করে তুলে অতি অসাধারণ,
যতই দখল ততই থাকা কেন্দ্রের বিন্দুতে।
কে করে হাতছাড়া! দখলদারিত্ব!
সত্যরে করে গোপন হইচই তুচ্ছ নিয়ে, এভাবেই গোলেমালে কাটে দিন,
পুঁথিটা করি বগলদাবা, সত্যরে করি মাটিচাপা,
বিদ্যের জাহাজ রত ওই দুর্বোধ্য সংলাপে
আপন আপন সুখের অন্বেষণে।
০৬/১২/২০