অদৃশ্য অন্ধকার
---
লাল নীল হলুদ--- অপূর্ব মাধুরী মিলিয়ে গেলো
সন্ধ্যা নামলে পরে, অস্তাচলে মিলায় অশ্বারোহী।
দেবদূত! তুমি কি এলে?
চন্দ্রকলার নায়ে বেয়ে?
আমি যুগ যুগ ধরে প্রতীক্ষারত,
আমি যুগ যুগ ধরে স্থির, অচল
একটি বিন্দুতে।


আমি অন্ধকারে, তাই পৃথিবীতে নামলে রাত্রি
আমি তোমাকেই খুঁজি।
তোমায় খুঁজতে খুঁজতে আমি ক্রমশই
নেমে এসেছি পাহাড়ের অভ্যন্তরে,
একটি অন্ধকার গুহায়,
অথবা খাদের একদম কিনারে,
অকস্মাৎ হবে আমার নিম্নপতন।


যদি তুমি এসে যাও, হাত বাড়িয়ে দাও
অদৃশ্য অন্ধকারে বন্দী আমার সত্ত্বা,
আমায় মুক্তি দাও।
একদম সূক্ষ্ম  সূতোর জালের মত প্রায় অদৃশ্য একটি
দেয়াল,দাঁড়িয়ে আছে প্রচণ্ড বাধা হয়ে।
অন্ধকার তো কালোই, সে আবার অদৃশ্য কী করে হয়?
চোখে দেখা যায় কি সব অন্ধকারে?
চোখের সামনে যে অন্ধকার
সে তো নয় অস্পষ্ট!
একটু আলো জ্বালিয়ে দাও
আবার দেখতে পাবে তোমার দু'চোখ।


আমার ভেতরে যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত হয়েছে যে অন্ধকার
আমার হৃদয় চক্ষু অন্ধকারে,
ওখানে বাস করে বিকট কালো দৈত্য,
নিমেষে পোড়ায় বাহিত সভ্যতা, ধ্বংসের বীজ বুনে দেয়
পরিপাটি কর্ষিত সভ্যতার জমিনে।
আমায় তুমি আলো দাও, তোমার আলোয় স্নাত করে
আমায় বিশুদ্ধ জীবন দান করো এবার।
কত আর রইবো অন্ধকারে?


অদৃশ্য মানস অন্ধকার,অদৃশ্য অস্তিত্বের অন্ধকার,
তোমার আমার মাঝখানে বহমান অদৃশ্য অন্ধকারের ধারা
শুষ্ক করে দাও, কুসুমে পল্লবিত করো
হৃদয় কুসুম আমার।
হে আমার আলো, জাগাও আলো
আমার অন্ধকারে জ্বালাও তুমি
প্রভাত রবির আলো।
আমি আলোর মশাল জ্বেলে এগিয়ে যাবো
গড়বো আলোর সভ্যতা।
একটি অদৃশ্য অন্ধকার আমায় বাধা দেয়
আমি ছুঁতে পারিনা,তবু
নিয়তই টের পাই খুব করে
আমি অদৃশ্য অন্ধকারেই বসবাস করি।
যে অন্ধকার আমার আজন্ম মানসলোকে
প্রোথিত রয়েছে তীব্র অহংকারে।
৫/২/২১